কত ঘাত প্রতিঘাতই সইতে হলো তাকে। কতই না অপমান মুখ বুজে মেনে নিতে হয়েছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে। কোচের সঙ্গে বাদানুবাদ,




মতের অমিল আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না পারার অনলে পুড়ছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যে ক্লাবেই রচিত হয়েছে রনের তারকা বনে যাওয়ার গল্প,




সেখান থেকেই বিদায়টা এমন তেতো হবে তা কি কখনো ভেবেছিলেন সিআরসেভেন? ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে বিশ্বকাপ শিরোপাটাও উঁচিয়ে ধরা হলো না এই সুপারস্টারের।




এত সব না পাওয়ার দগদগে ক্ষতটা পুড়িয়েছে খুব। নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফিরেছেন আপন মনে। প্রথম দফায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে কাটিয়েছিলেন ৬টি বছর।




এরপর রিয়ালে ৯ বছর ও ইতালিয়ান ক্লাব য়্যুভেন্তাসে ৪ বছর কাটানোর পর আবারও সুখের সন্ধানে পাড়ি জমিয়েছিলেন পুরনো ডেরায়। তবে কোচ এরিক টেন




হ্যাগের সঙ্গে কোনোভাবেই বনিবনা হচ্ছিল না রনের। দিনের পর দিন বেঞ্চে বসিয়ে রাখা, ডাগ আউটে কোচ আর রোনালদোর দা-কুমড়ার সম্পর্কে দেখেছে পুরো ফুটবল বিশ্ব।




তবে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের আগে কোচ এরিক টেন হ্যাগের সম্পর্কে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেন রোনালদো। এরপর বিশ্বকাপ যাত্রাটাও সফল হলো না রনের।




শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রনের পারস্পারিক সমঝোতায় ক্লাব ছেড়েছেন তিনি। এরপর দেড় মাস ক্লাবহীন থেকেছেন সিআরসেভেন। অনেক দিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল,




ইউরোপের কোনো ক্লাবে নয়, বরং সৌদি আরবের ক্লাবে পাড়ি জমাতে যাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী এই সুপারস্টার। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো।




ইউরোপ ছেড়ে সৌদির ক্লাব আল নাসেরে যোগ দিয়ে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।




রেকর্ড সংখ্যক অর্থ অর্থাৎ বার্ষিক ২০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রোনালদোকে দলে নিয়েছে আল নাসের। এমন দাবি করেছেন ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো,




যিনি ফুটবল দলবদল বিষয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র হিসেবে পরিচিত। সেই হিসেবে রোনালদো বাংলাদেশি মুদ্রায় বছরে বেতন পাবেন প্রায় ২ হাজার ২১৩ কোটি সাড়ে ৭ লাখ টাকা। যা দৈনিক বেতন দাঁড়ায় ৬ কোটি ৬ লাখ টাকার বেশি।