ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরাজিত নৌকা প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা

কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনে পরাজিত নৌকা প্রার্থীর বহু কর্মী-সমর্থক এখন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওই আসনের বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলা-ভাঙচুর হুমকি-ধমকির কারণে অনেক নৌকার সমর্থক এলাকাছাড়া রয়েছেন। শুক্রবার বিকালে ওই আসনের নৌকার প্রার্থী এবং সাবেক সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী এসব অভিযোগ করেন।

তিনি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা অসঙ্গতি এবং প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতার জন্য ১৯৫১ ভোটে নৌকার প্রার্থী হিসেবে তিনি পরাজিত হন। ওই আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মজিদ জয়ী হন। ভোটে জেতার পর থেকেই ওই স্বতন্ত্র এমপির কর্মী-সমর্থকরা মারমুখী হয়ে উঠে। নৌকার কর্মী-সমর্থকদের ওপর দফায় দফায় হামলা করা হয়। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সাবেক এমপি মেরী জানান, নির্বাচনের পর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সওদাগর, ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হোসেন ডাক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ, আব্দুল মতিনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী হামলার শিকার হয়ে এখন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর করা হয়। একই এলাকার প্রবাসী অলি আহমেদের বাড়িতে হামলা করা হয়। ওই এলাকার ২০-২৫ জন নেতাকর্মী বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন পাঠান এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মাথাভাঙা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মোল্লাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ওই সাবেক সংসদ সদস্যের আরও অনেক কর্মী-সমর্থক হামলার ভয়ে এলাকায় আসতে পারছেন না বলে অভিযোগ করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র এমপি অধ্যাপক আব্দুল মজিদ বলেন, আমার কোনো কর্মী-সমর্থক এসব ঘটনায় জড়িত নয়। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি এসব বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। এ ধরনের ঘটনায় কেউ জড়িত হলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *