রোমাঞ্চ-উত্তেজনার নানা অলিগলি পেরিয়ে ম্যাচ গড়াল শেষ ওভারে। জয়ের জন্য তখন ভারতের দরকার ১৬ রান। সেখানেও নাটক কম হলো না।




স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ করলেন উচ্চতার ‘নো’ বল। সেই বলে ছক্কা হাঁকালেন বিরাট কোহলি। ফ্রি হিট ডেলিভারি তার স্টাম্প এলোমেলো করে দিলেও বাই থেকে এলো ৩ রান!




২ বলে যখন দরকার ২, দিনেশ কার্তিক হয়ে গেলেন স্টাম্পড। এরপর বোলার করে বসলেন ওয়াইড। শেষ বলে এক রান নিয়ে উল্লাসে মাতলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।




মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দর্শকে ঠাসা গ্যালারির সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জিতল ভারত। ১৬০ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলল শেষ বলে।




জয়ের নায়ক কোহলি। ৪ উইকেটে ৩১ রানের ধ্বংসস্তূপ থেকে পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৭৮ বলে ১১৩ রানের রেকর্ড জুটি উপহার দেন তিনি। ৫৩ বলে অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসে মাঠ ছাড়েন দলের জয় সঙ্গে করে।




গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরেছিল ভারত। এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিল তারা।




শেষ ৩ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৪৮ রান। অষ্টাদশ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে তিনটি চার মারেন কোহলি, রান আসে ১৬।




পরের ওভারে আরেক পেসার হারিস রউফ প্রথম চার বলে দেন কেবল ৩ রান। তবে শেষ দুই বলে দারুণ দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যবধান কমিয়ে আনেন কোহলি।




পাকিস্তানের মূল তিন পেসারের বোলিং কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় অধিনায়ক বাবর আজম শেষ ওভারে বল তুলে দেন নাওয়াজের হাতে, নিজের প্রথম তিন ওভারে যিনি দিয়েছিলেন ২৯ রান।




নাওয়াজ শেষের শুরুটা করেন দারুণ। প্রথম বলে ফিরিয়ে দেন পান্ডিয়াকে। ১২ বছরের বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নেমে পরের বলে কার্তিক নেন এক রান। তৃতীয় বলে কোহলির ডাবল।




এরপরই নাওয়াজের ‘নো’ বল, ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন কোহলি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য আপত্তি তোলেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা।
পরের ডেলিভারি নাওয়াজ দেন ওয়াইড। এরপর ফ্রি হিটে ওই ৩ রানের পর নাওয়াজের আরেকটি ওয়াইড ও ভারতের রুদ্ধশ্বাস জয়।
এদিকে মাশরাফি বিন মুর্তজা ভিরাট কোহলিতে মুগ্ধ হয়ে বলেন, আমি জীবনেও এমন ব্যাটিং দেখি নাই। আর দেখলেও এভাবে অংকের মত মিলিয়ে ইনিংস শেষ করতে দেখিনাই। হোয়াইট এ ব্যাটসম্যানশীপ। এ কিং ইজ অলঅয়েজ কিং।