দুর্দান্ত এক ম্যাচের দেখা মিলেছিল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। যেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নামিবিয়ার মধ্যকার টানটান উত্তেজনাপূর্ন ম্যাচে ৭ রানের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে আরব আমিরাত।




তাদের জয়ের মধ্য দিয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে নামিবিয়ার, তাতে করে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে গেছে নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্বে রানারআপ হওয়ার কারণে নেদারল্যান্ডস পড়েছে গ্রুপ দুইয়ে, যেখানে তাদের সঙ্গী বাংলাদেশ।




তাতে করে সুপার টুয়েলভে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের সঙ্গে, যেটা টাইগারদেরও প্রথম ম্যাচ মূল পর্বের খেলায়। ম্যাচটি শুরু হবে আগামী সোমবার ২৪ তারিখে সকাল ১০ টায়, হোবার্টের মাটিতে।




বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান তেমন একটা সুবিধাজনক নয়। ২০০৭ সালে সবশেষ ও একমাত্র মূল পর্বের খেলায় জয় পেয়েছিল টাইগাররা।




এরপর আরও ৬ টি বিশ্বকাপের আসর পেরিয়ে গেলেও কখনো মূল পর্বের খেলায় জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। আর এবার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল নেদারল্যান্ড, তাতে করে জয় পাওয়ার সম্ভাবনা টা অনেক বেশি।




তবে পরিসংখ্যানও যে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে তাও কিন্তু নয়। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছে মাত্র তিনবার। যেখানে দুইবারের জয় টাইগারদের একবার জিতেছে ডাচরা।




তাই প্রতিপক্ষ দুর্বল মনে হলেও এই ম্যাচটা যে সহজ হবে না টাইগারদের জন্য সেটা নিশ্চিত। এই ম্যাচের জন্যে তাই নিজেদের সর্বোস্ব উজার করে দিতে হবে বাংলাদেশ কে, সেটা বলাই যায়।




তবে এই ম্যাচের জন্য কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সেরা একাদশ? এখনো শেষ হয়নি বাংলাদেশের পরীক্ষা। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় না কোন দুজন ওপেনার হতে পারেন।




তবে সম্ভবনা রয়েছে সৌম্য সরকার ওপেনিং করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত কে নিয়ে। সাধারণত তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করে থাকেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান,




তবে দলের প্রয়োজনে হয়তো পিছিয়ে যেতে হবে তাকে। তিন নম্বরে ব্যাটিং করবেন লিটন এবং চার নম্বরে নামতে পারেন টাইগার অধিনায়ক।




সেক্ষেত্রে ৫ নম্বর পজিশনের জন্য বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ হবেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৬ নম্বর পজিশনে উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহান এর দেখা মিলতে পারে।




তাহলে সাত নাম্বারে মোসাদ্দেক সৈকত কিংবা ইয়াসির আলীর মধ্য থেকে মাঠে নামতে পারেন যেকোনো একজন। কোন সন্দেহ ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নামতে হবে ৪ জন ফাস্ট বোলার নিয়েই।




যদি তেমনটাই হয় তবে হাছান মাহমুদ এবং তাসকিন আহমেদের সঙ্গে শরিফুল ইসলাম থাকবেন নিশ্চিত। বাকি একটি পজিশনের জন্য এবাদত হোসেন কিংবা অভিজ্ঞ মুস্তাফিজুর রহমানের মধ্য থেকে সুযোগ পাবে একজন!