আসন্ন বিশ্বকাপের মূল দলে নেই ওপেনার সৌম্য সরকার, আছেন স্ট্যান্ডবাইয়ের তালিকায়। তবে চলমান বাংলাওয়াশ ত্রিদেশীয় সিরিজে ২টি ম্যাচে খেলানো হয়েছে তাকে।




সেই দুই ম্যাচে সৌম্যর পারফরম্যান্সে বেশ সন্তুষ্টই মনে হচ্ছে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামকে। শ্রীরাম বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার




পর থেকেই সবচেয়ে বেশি যে দুইটি শব্দ শোনা যাচ্ছে তা হলো ‘ইন্টেন্ট’ এবং ‘ইম্প্যাক্ট’। টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেটারদের ইন্টেন্ট এবং ইম্প্যাক্টকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাচ্ছেন শ্রীরাম।




গত দুই ম্যাচে সৌম্যর ব্যাটিংয়ে সেই ইতিবাচক ইন্টেন্টই খুঁজে পেয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে তাই সৌম্যর প্রশংসাই করলেন তিনি।




শ্রীরাম জানান, ‘সে (সৌম্য) একটি শট খেলার চেষ্টা করে আউট হয়ে গেছে, এটাই ইন্টেন্ট। দলের জন্য খেলার চেষ্টা করেছে, ৬-৭ রান করেছে হয়ত।




বলের গতিকে আক্রমণ করতে গিয়েই আউট হয়েছে সে। এরকমটা হতেই পারে। গতকালই তিনে নেমে দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে সে। এগুলো বেশ ভালো লক্ষণ।




তার মত ক্রিকেটারদেরকে আত্মবিশ্বাস যোগানোটা আমাদের দায়িত্ব।’ বিশ্বকাপের দলে পরিবর্তন নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।




সৌম্য সরকার, শরিফুল ইসলামের ভালো পারফরম্যান্সের পর এই আলোচনা যেন আরও বেশি বেড়ে গেছে। তবে এই বিষয় নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু জানাতে নারাজ শ্রীরাম।




কিছুদিনের মধ্যেই সবকিছু চূড়ান্ত করে সবাইকে জানানো হবে বলে জানিয়েছন তিনি, ‘(বিশ্বকাপের দলে পরিবর্তন হবে কিনা) দেখা যাক আমাদের হাতে এখনো দুই দিন সময় আছে।




আমি আগেও বলেছি আমরা পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। আমাদের চাহিদা নিয়ে আমরা বেশ স্পষ্ট। কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা জানতে পারবেন।’




তবে দলের ভালো খেলার জন্য শুধু ওপেনিং কিংবা ১-২টি জায়গা নিয়ে পড়ে থাকলেই হবে না বরং সবকিছু নিয়েই চিন্তা করতে হবে বলে মত শ্রীরামের।




তিনি জানান, ‘আমি আগেও বলেছি কোনো একটি জায়গা নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। বাংলাদেশের জয়ের জন্য আমাদেরকে সব জায়গাতেই ভালো করতে হবে, শুধু ওপেনিং নয়।
আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি সুযোগ পেয়েছি। প্রথম ম্যাচে আমাদের শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান করতে হতো, শেষ ম্যাচে আমাদেরকে শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান ডিফেন্ড করতে হতো।
আমরা ২টি সুযোগই হাতছাড়া করেছি, হয়তো খুব অল্প ব্যবধানে। কিন্তু সেই অল্প অল্প ব্যবধান গুলোই দিনশেষে পার্থক্য গড়ে দেয়।’
শ্রীরাম আরও বলেন, ‘নিয়মিত জয় পেতে হলে এই জিনিসগুলোই আমাদের শিখতে হবে। ভালো দলগুলো তাই করছে। তারা শেষদিকে ওভারপ্রতি ১০ এর চেয়ে বেশি রান তুলছে,
বোলিংয়েও ওভারপ্রতি ১০ এর কম রান দিচ্ছে। সুতরাং শুধু একজন ক্রিকেটার কিংবা দলের একটি জায়গা নিয়ে পড়ে থাকলেই হবে না। পুরো দল নিয়েই চিন্তা করতে হবে।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের যাত্রা শেষ বাংলাদেশের জন্য। কিছুদিন পরেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে নামবে সাকিব আল হাসানের দল।