ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে নুরুল হাসান সোহানের দল হেরেছে ২১ রানে।




আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।




রান তাড়া করতে নেমে মেক শিফট ওপেনার মেহেদি মিরাজ ও সাব্বির রহমানের জুটি চতুর্থ পরীক্ষায়ও ফেল করেছে। এশিয়া কাপ,




আমিরাত সিরিজের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৫ রানের জুটি হয় তাদের। মিরাজ এক ছক্কায় ১১ বলে ১০ করে আউট হন।




সাব্বির ১৮ বল খেলে ১ চারে করেন ১৪ রান। তৃতীয় উইকেটে আশা দিচ্ছিলেন লিটন-আফিফ। কিন্তু হঠাৎ ধসে ১৪ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।




লিটন দাস ২৬ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ করে আউট হন। আফিফ হোসেন ২৩ বলে ২৫ রান করেছেন। সোহান ফিরেছেন ৮ করে।




দলের রান তখন ৮৭। পরেই বলেই মোসাদ্দেক আউট হন। বাংলাদেশ ১০১ রানে হারায় ৬ উইকেট। এরপর শেষ দিকে দারুণ ব্যাটিয় করলেও দলকে জেতাতে পারেননি ইয়াসির।




সঙ্গীর অভাবে তার চেষ্টা সফল হয়নি। তবে কেবল ব্যবধান কমিয়েছেন ইয়াসির আলী। তার ২১ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসে ১৪৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।




টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫২ রান যোগ করেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২৫ বলে চারটি চারে ২২ রান করেন বাবর। তিনে নামা শানমাসুদ ফিরে যান ২২ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩১ রান করে।




পাকিস্তানের পরের ব্যাটাররা ভালো করেননি। হায়দার (৬), ইফতিখার (১৩) ও আসিফ আলী (৪) ব্যর্থ হলেও ওপেনার রিজওয়ান ৫০ বলে ৭৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে আসে সাতটি চার ও দুটি ছক্কা।




বাংলাদেশ দলের হয়ে পেসার তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। স্পিনার নাসুম ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২২ রানে নেন এক উইকেট।




মিরাজ ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। তবে মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪৮ ও হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে দেন।