৩৭ বছর বয়সে আবারো বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়ে দিনেশ কার্তিক টুইট করেছে জানিয়েছিলেন স্বপ্ন সত্যি হতে পারে৷ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে মাশরাফি মর্তুজা




বলেছিলেন বাংলাদেশের ক্রাইসিস ম্যান, দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ম্যাচে একা হাতে ম্যাচ জিতিয়েছেন রিয়াদ। নিজের ক্যারিয়ারের ক্রাইসিসে কি আবারো ফিরতে পারবেন নিজেকে বদলে ফেলে!




দিনেশ কার্তিকের উদাহরনটা তাই সেকারনেই দেওয়া। ২০০৭ এর প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা দিনেশ কার্তিকরা যদি বদলে ফেলে ফিরে আসতে পারেন ১৫ বছর পরেও তবে রিয়াদরা কেন পারবেননা?




মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার কি তবে শেষ!? এমন প্রশ্নে হয়ত দেশের নিরানব্বই ভাগ মানুষই বলবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ




নামক টি-টোয়েন্টি অধ্যায় এর সমাপ্তি ঘটে গেছে ১৪ সেপ্টেম্বরে বিসিবির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষনার মধ্য দিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, অন্তত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দিক থেকে তাই।




ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাদ পড়া সংক্রান্ত বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যেখানে উঠে এসেছে বিস্তারিত।




চলতি বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অথবা ইয়াসির রাব্বিকে দলে বেছে নিতে হতো। ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে।




সংবাদমাধ্যমের সামনে রিয়াদের টি-টোয়েন্টি অধ্যায়ের শেষই দেখে গেছেন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। ভারতের মাহেন্দ্র সিং ধোনীর সাথে তুলনা করে বলেছেন,




সবাইকে থামতে হয়। অবসরের আগ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আবারো ফিরতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধান নির্বাচক চুপ থাকলেও আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেছেন পারফরম্যান্স করলে সুযোগ মিলতেই পারে।




বিসিবি থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলিয়ে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিল এবং সে অনুযায়ী প্রস্তাবও দিয়েছিল বোর্ড৷




তবে সে প্রস্তাবে রাজী হননি রিয়াদ। অন্তত আরো দুই বছর খেলা চালিয়ে যেতে চান এবং পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টার একাগ্রতার কথা জানিয়েছেন তিনি।




তাই এখনই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিদায় বলার সময় আসেনি। ভারতের দিনেশ কার্তিকের মতই নিজেকে বদলে যদি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আবারো জাতীয় দলে ফিরে আসবার দাবী জানিয়ে বসেন তখন কি করবে বিসিবি!