ফরিদ মালিকের শর্ট অব লেন্থের ডেলিভারি অনায়াসেই ডিপ মিড উইকেট দিয়ে সোজা সীমানার ওপারে পাঠালেন বিরাট কোহলি। অভিবাদন জানাতে ছুটে এলেন রিশাভ পান্ত।




আর কোহলি যেন হাসিই থামাতে পারছেন না। এই হাসি তৃপ্তির, এই হাসি দীর্ঘ অপেক্ষার পর অধরা সেঞ্চুরি প্রাপ্তির। এশিয়া কাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটি ছিল নিছকই নিয়মরক্ষার।




তবে এই ম্যাচকেই নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় করে রাখলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। কেননা এই ম্যাচেই যে তিনি তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৭১তম সেঞ্চুরি।




২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭০তম সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। এরপর ৭১তম সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হলো ১০২১ দিন! দীর্ঘ প্রায় তিন বছর অপেক্ষার পর অবশেষে জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পেলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।




অধিনায়ক রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে ইনিংস সূচনা করতে নেমে ৩২ বলে করেছিলেন ফিফটি। যেখানে ছিল পাঁচটি চারের সঙ্গে দুইটি ছয়ের মার।




পরের পঞ্চাশে করতে তিনি খেলেন মাত্র ২১ বল, ছয়টি চারের সঙ্গে দুই ছয়ের মারে মাত্র ৫৩ বলে তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি।




একপর্যায়ে ৪০ বলে ৫৯ রানে খেলছিলেন কোহলি। সেখান থেকে পরের ২১ বলে আর ৭৩ রান করে শেষ পর্যন্ত ১২ চার ও ছয়টি ছয়ের মারে ৬১ বলে ১২২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংসের পর কোহলি জানালেন, নিজেই অবাক হয়েছেন এই সেঞ্চুরিতে।




ইনিংস ব্রেকে ব্রডকাস্টারদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি, খুবই কৃতজ্ঞতাবোধ করছি এখন। গত আড়াই বছর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।




নভেম্বরে আমার ৩৪ বছর হবে। তাই (আগ্রাসী) উদযাপন সব অতীতেই থাকুক। এখন অনেক কিছুই আমার ভাবনার জগতে কাজ করে।’ কোহলি ভাবেননি টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করে ঘুচবে তার তিন বছরের অপেক্ষা,




‘আমি খানিক অবাকই হয়েছি। কারণ এই ফরম্যাটেই সেঞ্চুরির সবচেয়ে কম আশা ছিল। সবই সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। এটি আমার জন্য ও দলের জন্য অনেক স্পেশাল।’