‘আমাদের টিম ডিরেক্টর (বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন) আছে, জালাল ভাই (বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস) থাকবে, আমি থাকছি এবার।




আর কী!’ মন্তব্যটা দিন দুয়েক আগে করেছিলেন বিসিবির প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। টেকনিক্যাল পরামর্শক হিসেবে শ্রীধরন শ্রীরাম থাকলেও এশিয়া কাপে এবার কোনো প্রধান কোচ ছাড়া খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।




তাহলে দলের মূল পরিকল্পনা করবেন কে? খেলোয়াড়দের দায়িত্বে থাকবেনই বা কে? এমন সব প্রশ্নের উত্তরের এক পর্যায়ে উপরের মন্তব্যটি করেছিলেন পাপন।




তাতে স্পষ্ট যে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তাদের প্রভাব স্পষ্ট। আর সেটা আরও স্পষ্ট করেছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। গণমাধ্যমে বিসিবির ঢালাওভাবে সমালোচনা করেছেন তিনি।




বোর্ডের হস্তক্ষেপ, নিজের মতো কাজ করতে না পারা, বাহির থেকে খেলোয়াড়দের চাপ দেওয়াসহ আরও অনেক অভিযোগই করেছেন এ প্রোটিয়া কোচ।




বুধবার ক্রিকেট অঙ্গনে মূল আলোচনার বিষয়ই ছিল ডমিঙ্গোর করা অভিযোগ নিয়ে। আর এ বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালোভাবে নেয়নি বিসিবি।




যে কারণে তার কাছে এমন অভিযোগের কারণ জানতে চাইবে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সাংবাদিকদের সঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।




‘জিনিসটা আগে খতিয়ে দেখি এবং এটা নিয়ে আমার কাছে মনে হয় বোর্ড থেকে তার কাছে একটা চিঠি যাওয়া উচিত যে বক্তব্যগুলো আসলে কি বুঝাতে চেয়েছেন।




যদি আমাদের পরিষ্কার করে তাহলে আমরা বুঝতে পারবো কোথায় সমস্যা হচ্ছে,’ ডমিঙ্গোর অভিযোগ সম্পর্কে এমনটাই বলেন জালাল ইউনুস।




তবে বিষয়টি কারণ দর্শানোর নোটিশের মতো হবে না বলেও জানান তিনি, ‘এটা আসলে শোকজ নয়, আমরা আসলে জানতে চাইবো। এজন্যই বললাম,




এই মুহূর্তে আমি কমেন্ট করতে চাচ্ছি না। আমরা নিজেদের মাঝে আলাপ করে দেখি। আলাপ করার পরে পরবর্তী অ্যাকশনটা কি হবে সেটা আপনাদের জানাতে পারবো।’
বিসিবি পরিচালকবৃন্দ সহ সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানান জালাল ইউনুস, ‘আমি আসলে সবার সঙ্গে আলাপ করে মন্তব্য করতে চাই।
এই সময় আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে কিছু কিছু জিনিস আছে যেটা বললেন আপনি, খেলোয়াড়দের ব্যাপারে। সেটা খেলোয়াড়দের জিজ্ঞেস করলেই হবে কারা হ্যাম্পারিং করে না করে।
তাহলেই তো পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা সত্য নয়। যদি কোনো মেসেজ দেয়ার থাকে মেসেজ দেয়। এটা আমরা চাই, এভাবে আমরা চাই। এটা একেবারে খোলামেলা।’
তবে ডমিঙ্গোর এমন অভিযোগ করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন তিনি, ‘অবশ্যই এটা কাম্য নয়। এখনও তার সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে এবং সরাসরি কিছু অভিযোগ আছে। এই অভিযোগগুলো আমি খণ্ডন করছি না,
আমরা নিজেদের মাঝে আলাপ আলোচনা করবো। আমি মাননীয় সভাপতিকে জানিয়েছি, উনিও দেখেছেন নিউজটা। সিইও সাহেবও জানেন। আমাদের নিজেদের মাঝে আলাপ আলোচনা করা দরকার। তারপর আমরা বলতে পারবো কি জানতে চাইবো তার কাছে। এটা আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেবো।’