প্রচারণার জন্যই সাকিব আল হাসানকে টার্গেট করেছিল বেটিং সাইটের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। চুক্তি বাতিল হলেও তা পৌঁছে গেছে সবার মাঝে। তাই এর প্রভাব থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখতে ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট বোর্ডকে দায়িত্ব নেয়ার কথা বলছেন ভক্তরা।




আর অন্য ক্রিকেটাররা এমন কোনো গোপন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত কি না, সেটা খতিয়ে দেখার পরামর্শ সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হকের।




সাকিব আল হাসানের বেটিং সাইটের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির ঘটনায় তোলপাড় দেশের ক্রীড়াঙ্গন। চাপের মুখে চুক্তি বাতিল হয়েছে ঠিকই।
তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে টার্গেট করার মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটির।




দেশের ক্রিকেটের আদর্শ হয়েও এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করায় ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। বেটিং সম্পর্কে যারা জানতেন না, সাকিবের এই চুক্তির বিষয়টি আগ্রহ বাড়বে ভক্তদের মাঝে।




এদিকে সাকিবের এক সমর্থক বলেন, সাকিব নিঃসন্দেহে আমাদের একজন বড় খেলোয়াড়। যদিও এমন চুক্তির কথা প্রকাশ হয় না। তবে আমরা তো জেনে গেছি বিষয়টা।




দেশের আইনে নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন বেটিং সাইটে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছেন জুয়ায় আসক্তরা। দেশীয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যেমে লেনদেন করছেন তারা।




এতে অর্থ চলে যাচ্ছে বিদেশে। এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের ক্রিকেটের বড় তারকার সম্পৃক্তি ক্রিকেটের জন্য হুমকি। ক্রিকেটাররা কোন গোপন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞের।




এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, তার এই সিদ্ধান্ত ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার মানেই হলো সাকিবের দেখাদেখি অন্য খেলোয়াড়রাও সুযোগ পাবে।




তারপর ক্রিকেটের পুরো ভবিষ্যৎটাই ধ্বংস হয়ে যাবে। তো এই জায়গা থেকে এখনই সময় বেরিয়ে আসা। আর অন্য খেলোয়াড়রাও এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত কি না,




এই ব্যাপারগুলোও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ব্যক্তি সাকিবের দিকে নজর না দিয়ে, অপরাধকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর ব্যবস্থা নিলে ভবিষ্যৎতে এমন কার্মকাণ্ড থেকে ক্রিকেটাররা বিরত থাকবেন বলেও মনে করেন তিনি।