Home / সর্বশেষ / এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে ‘এ’ দল থেকে ক্রিকেটার ধার করছে বিসিবি

এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে ‘এ’ দল থেকে ক্রিকেটার ধার করছে বিসিবি

বাংলাদেশের বিপক্ষে নতুন করে ইতিহাস রচনা করলেন দুই জিম্বাবুয়াইন ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা ও রেজিস চাকাভা। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এই দুই ব্যাটারের অনবদ্য জুটির ওপর ভর করে পাঁচ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা।

এমন অবিস্মরণীয় জয়ে টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও নিজেদের দাপট বজায় রাখল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে গেল নয় বছরে টানা পাঁচটি ওডিআই সিরিজ হারের পর এটাই জিম্বাবুয়ের প্রথম সিরিজ জয়।

বিপরীতে হতাশাকে সঙ্গী করলেন তামিম ইকবালরা। তবে নতুন খবর হচ্ছে জিম্বাবুয়ে সফরে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। তবে নির্বাচকদের মনোযোগের একটি বড় অংশ থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘এ’ দলের উপর। এশিয়া কাপের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের এ দলের হয়ে পারফরমেন্স বেশ বড় একটা প্রভাব ফেলতে পারে।

ওপেনিংয়ে লম্বা সময় ধরেই সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পাচ্ছেনা বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে ওপেনার হিসেবে সৌম্য সরকারের উপর নজর থাকবেন নির্বাচকদের।

উইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ভালো পারফর্ম করতে পারলেই এশিয়া কাপের দলের জন্য বিবেচনায় থাকবেন তিনি। ফিনিশিং ডিপার্টমেন্ট নিয়েও বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে নির্বাচকেরা। ফলে সাব্বির রহমানের দিকে চোখ থাকবে নির্বাচকদের।

নিজের সেরা সময়ের কিছুটা ঝলক দেখাতে পারলেই হয়তো এশিয়া কাপের বিবেচনায় থাকবেন সাব্বির। টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের প্রায় প্রতিটি জায়গায় সমস্যা রয়েছে।

বাজে ফার্মের কারণে রিয়াদ খুব সম্ভবত এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাবেন না। ফলে মিডল অর্ডারে বিশাল একটি শূন্যতা সৃষ্টি হবে। এই শূন্যতা পূরণের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে মাহমুদুল হাসান জয়কে।

নিজের সহজাত খেলার বিপরীতে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন জয়। তবে সহজাতভাবে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন এই ক্রিকেটার।

বিপিএলেও বেশ কিছু সময় দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন এই ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি দলের জন্য এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত না হলেও নির্বাচকদের রাডারে নিশ্চিতভাবেই রয়েছেন জয়।

তার উপর বাংলাদেশ দলের একঝাঁক নিয়মিত ক্রিকেটার পড়েছেন চোটে। তাই জয়ের উপর ভালোভাবেই নজর রাখবেন নির্বাচকেরা। আরেক অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিশ্চিতভাবেই নির্বাচকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে।

বোলার থেকে নিজেকে পূর্ণাঙ্গ একজন অলরাউন্ডার হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করছেন এই ক্রিকেটার। যার কিছুটা নজির ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এবং এইচপির বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলে পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলতে শুধুই সাইফুদ্দিন রয়েছে।

মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী দলে নিজের জায়গা পাকা করতে পারলে বিকল্প বাড়বে ম্যানেজমেন্টের হাতে। এ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উপরেই নজর রাখবেন নির্বাচকেরা। তবে বিশেষ মনোযোগ থাকবে এই কয়েকজনের উপর।

Check Also

রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে সিরিজ জিতল আফগানিস্তান

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েই এক ম্যাচ হাতে রেখে জিতে নিল আফগানিস্তান। …

Leave a Reply

Your email address will not be published.