



জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটি চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে নিজেদের প্রিয় সংস্করণেও বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে টাইগারদের। ওয়ানডেতে টাইগারদের ওপেনিং কম্বিনেশন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী।




এছাড়া মিডল অর্ডারও যথেষ্ট ভারসাম্য পূর্ণ। তবে ফিনিশিংয়ে কিছুটা সমস্যা ঠিকই রয়েছে। প্রায় এক যুগ ধরে টাইগারদের ফিনিশিংয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।




তবে বিগত এক বছর ধরে ঠিকঠাকভাবে নিজের দায়িত্ব পূরণ করতে পারছেন না মাহমুদুল্লাহ। ওয়ানডেতে বেশ কিছু ম্যাচে টপ অর্ডারের অসাধারণ পারফরমেন্সে শক্ত ভিত পায় বাংলাদেশ।




স্কোর যেখানে অনায়াসেই ৩৩০ কিংবা এরচেয়ে বেশিও হতে পারত, সে জায়গায় দুর্বল ফিনিশিংয়ের কারণে কোনোভাবে ৩০০ পেরোয় টাইগাররা।




আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের উদাহরণটা এক্ষেত্রে দেওয়া যেতে পারে। ৪৬তম ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং লিটন কুমার দাস আউট হলে,




টাইগারদের স্কোর দাঁড়ায় ২৮৫/৪ উইকেটে। এ জায়গা থেকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ৯ বলে ৬ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব করেন ১২ বলে ১৩ রান। নির্দ্বিধায় বিশ্বের জঘন্যতম ফিনিশিংয়ের একটি নমুনা ছিল এ ম্যাচ।




এবং এ ঘটনা শুধু এমন একটি নয় বেশ কিছু সময় ধরেই মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে রান নেই। ফিনিশিংয়ে অধিকাংশ সময় বল এবং রান সমান রেখে রান করছেন। যা একটি আদর্শ ফিনিশারের জন্য কোনোভাবেই বোধগম্য নয়।




বয়সের চাপ পাশাপাশি পিঠেও ইনজুরি রয়েছে রিয়াদের, রিয়াদকে নিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ পরিকল্পনা করা যুক্তিসঙ্গত হবে কি? দলে রিয়াদ কিংবা অন্য যেকোনো




ফিনিসারই থাকুক না কেন, নিয়মিত ব্যাটা হাতে ঝড় তুলতেই হবে ফিনিশারদের। তা না হলে বিশ্বকাপে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে টাইগারদের জন্য।