



লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্তর পর ‘নতুন’ দলের তরুণ অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ব্যাটিংয়ে সবাই একটু একটু করে অবদান রাখলেন।




তবে তা জিম্বাবুয়ের বিশাল রান তাড়ায় যথেষ্ট ছিল না।জিম্বাবুয়ের দেওয়া রেকর্ড ২০৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৭ রান আগেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।এর আগে শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে।




বাংলাদেশ দলের ছন্নছাড়া বোলিং ও দুর্বল ফিল্ডিংয়ের সুবাদে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফিরে যান মুনিম শাহরিয়ার।তারপর দারুণভাবে ব্যাট করা লিটন দাস অদ্ভুতভাবে আউট হন।




শন উইলিয়ামসের বলে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। রিচার্ড এনগারাভা ক্যাচ নিলেও তা হাতে রাখতে পারেননি।কিন্তু লিটন সেটি খেয়ালই করেননি। নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা এনামুল হক বিজয়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা ধরেন।




তখন আম্পায়াররা থামান তাকে। তবে এরই মধ্যে উইলিয়ামস নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন। উইলিয়ামস যখন নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙেছেন, লিটন তখন ক্রিজের বাইরে। ফলে রান আউট হয়ে যান লিটন।




এর দুই ওভার পরই ২৬ রান করে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়ও। সিকান্দর রাজার বলে ক্যাচ তুলে দেন বিজয়।কিছুক্ষণ পর আফিফ হোসেনও ১০ করে আউট হয়ে গেলে বড় চাপে পড়ে বাংলাদেশ।




স্বল্প বিরতির পর শান্ত ও আফিফও ফিরে যান। এরপর মোসাদ্দেকও ফিরে যান ১৩ রানে। সবশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ থামে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানে।




এর আগে ওয়েসলি মাধেভেরে ও সিকান্দর রাজার জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ১ম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২০৬ রানের বড় টার্গেট দেয় জিম্বাবুয়ে।




ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ” পরের ম্যাচে আমাদের কিছু ওভারে ইম্প্রুভ করতে হবে , ১০-১৫ রান কম হলে আমাদের জন্য সহজ হতো। ভেবছিলাম আমরা রান তাড়া করতে পারবা, আশা করি আমরা পরের ম্যাচে আমরা শক্তিশালী ভাবে কামব্যাক করব।”