



বাংলাদেশ ক্রিকেটে সময়টা খারাপ গেলে জিম্বাবুয়েই যেন শেষ আস্থা। যখন বাংলাদেশের বেগতিক হাল ,তখনই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করে বসে বিসিবি। সিরিজ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে গুঞ্জন ছিল পরিবর্তনের।




বিশেষ করে সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তাই দল কে ভালবাবে বাজিয়ে দেখার জন্য এই ফরম্যাটে অন্তত স্কোয়াডে পরিবর্তন আসার সমূহ সম্ভাবনা ছিল!




যেটা গুঞ্জন ছিল সেটাই সত্যে পরিণত হয় অবশেষে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম ৩ জন সিনিয়র ক্রিকেটারই থাকছেন না এবারের টি-টোয়েন্টি সিরিজে!




পরিবর্তনের আভাস দেয়া শুধু এখানেই ছিল না ,পারভেজ হোসেন ইমন কে অন্তর্ভুক্তি করা যেন তারই ইঙ্গিত ছিল! তার অন্তর্ভুক্তির পরে প্রশ্ন উঠেছে এবারে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেনিং পজিশনকে কেন্দ্র করে!




তিন ম্যাচ সিরিজের জন্য যে বাংলাদেশ দলে যে 4 জন রয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনজন ডানহাতি এবং একমাত্র বাঁহাতি ওপেনার ইমন। জাতীয় দলে সাম্প্রতিক সময়ে




টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সুবিধা করতে না পারলেও লিটন দাস ওপেনার হিসেবেই হয়তো থেকে যেতে পারেন! যদিও নিশ্চিত নয় তবে সম্ভাবনাটা সবচেয়ে বেশি তারই ওপেনিং করার।




সেক্ষেত্রে কে হতে পারেন লিটনের সঙ্গী? এনামুল হক বিজয়, মুনিম শাহরিয়ার এবং লিটন দাস, তিন জনকেই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ওপেনিং করানো হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।




যদিও ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে ছিলেন এই তিনজন। যার কারণে কারও অবস্থানই সেভাবে পোক্ত নয় তবে বাকি দুই ফরমেটে অসাধারণ পারফরম্যান্স করালি টনি হয়তো সুযোগ পাবেন ওপেনার হিসেবে।




আরেক পজিশনের জন্য লড়াই টা হতে পারে বাকি তিনজন ওপেনারের মধ্যে। সেক্ষেত্রে ইমনকে এগিয়ে রাখলেও খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এটা কোনো নতুন সূত্র নয় একজন ডানহাতি এবং একজন বাঁহাতি ওপেনারের!




সূত্র যেমন রয়েছে ব্যাটিংয়ে তেমনি রয়েছে বোলিংয়েও ডানহাতি ব্যাটসম্যান এর বিপক্ষে অফস্পিনার টানানো হয় না। আবার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এর বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিন বোলারদের কেও সচরাচর আনা হয় না!




সব মিলিয়ে এই সূত্র যদি এবারের সিরিজেও চলমান থাকে তবে লিটন দাসের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ওপেনিং করার সম্ভাবনা থাকবে পারভেজ ইমনেরই! বাকিটা হয়ত সিরিজেই দেখা যাবে।