



চোটের কারণে নেই তামিম ইকবাল, পারিবারিক কারণে থাকতে পারছেন না লিটন কুমার দাসও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজের দলে স্বীকৃত ওপেনার হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র দুই জনে, এক সৌম্য সরকার ও দুই নাঈম শেখ। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা কেউ ইনজুরিতে পড়লে বিকল্প কে আছেন? বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন, বিকল্প ওপেনার হতে পারেন সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন।




টি-২০ তে বাংলাদেশকে খারাপ দল না বলতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ করেছেন ডমিঙ্গো। তার মতে, এ ফরম্যাটেও খারাপ দল নয় বাংলাদেশ। বিকল্প ওপেনারের প্রশ্নে ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমরা এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। সাকিব আছে, সে ওপেনিংয়ে উঠে আসতে পারে। মোহাম্মদ মিঠুন দলে ফিরে এসেছে। যদিও সে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, এই সংস্করণে প্রয়োজনে সে ওপেন করতে পারে, যদি কোনো ওপেনার চোট পায়। আশা করি, ওপেনারদের কিছু হবে না। তবে কিছু হয়ে গেলে, বিকল্প আছে আমাদের।’




বাংলাদেশ টি-২০ দল নিয়ে নেতিবাচক লেখা ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে পিছিয়ে দেয় বলেই দাবি ডমিঙ্গোর। তার মতে, বাংলাদেশ বেশ ভালো দল। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে টানা নেতিবাচক লেখালেখি পড়া খুবই হতাশার। আপনারা কেন বলেন যে টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভালো দল নই, তা আমার বোধের বাইরে। আমার তো মনে হয়, দারুণ সব ক্রিকেটার আছে আমাদের। উন্নতির জায়গা অবশ্যই আছে, তবে ভালো একটি দল হয়ে ওঠার উপকরণও আমাদের আছে। আমি জানি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মতো শারীরিক সুবিধা আমাদের নেই, অমন পেশি শক্তির ক্রিকেটার নেই। তবে দক্ষ কিছু ব্যাটসম্যান আমাদেরও আছে।’




সংবাদ মাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডমিঙ্গো আরও বলেছেন, ‘আমি মোটেও মনে করি না, আমরা খারাপ টি-টোয়েন্টি দল। দুর্দান্ত কিছু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার আমাদের আছে। ওদের পাশে থাকলে ও সমর্থন দিলে, ওদেরকে নিয়ে ইতিবাচক থাকলে এই দলও উল্লেখযোগ্য শক্তি হয়ে উঠবে। আমরা জানি, আমাদের উন্নতি করতে হবে এবং সেটার প্রক্রিয়াও আছে। গত এক বছরে খুব বেশি টি-টোয়েন্টি খেলিনি। নিউ জিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল, তবে জিম্বাবুয়েতে আমরা ভালো খেলেছি এবং আশা করছি, এই সিরিজে কিছু ইতিবাচক প্রতিবেদন আমাদের হবে। আমি সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করব দল নিয়ে আরেকটু ইতিবাচক থাকতে, কারণ সবসময়ই নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যায় এবং কখনও কখনও তা খুব ক্লান্তিকর।’