



নাজমুল হোসেন শান্তকে টানা সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। অনেক দিন পর দলে ফেরা অন্যদেরও খেলানো হয়েছে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ওয়ানডে ফরম্যাটে




ফেরার অপেক্ষায় থাকা এনামুল হক বিজয় একটা সুযোগও পেলেন না। স্বাগতিক ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল তিন ম্যাচ খেলেছে ওয়ানডে সিরিজে। একটিতেও সুযোগ হয়নি এই ব্যাটারের।




অথচ দ্বিতীয় ম্যাচ জেতার পরপরই ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো জানিয়ে ছিলেন, সিরিজের শেষ ম্যাচে অনেককেই সুযোগ করে দেওয়া হবে।




কেন অন্যদের সুযোগ দেওয়া হবে সেটারও ব্যাখা দিয়ে ছিলেন তারা। এরপরই অনেকেরই ধারণা ছিলো বিজয়ের সুযোগ মিলবে শেষ ম্যাচে। এই ব্যাটার ঘরোয়া ওয়ানডেতে রানের বন্যায় ভেসেছেন, রেকর্ডও করেছেন। সুযোগটা তার প্রাপ্যই ছিলো।




কিন্তুু অধিনায়ক তামিম ও কোচ ডোমিঙ্গোর কথার মিল পাওয়া যায়নি তৃতীয় ওয়ানডের একাদশে। মাত্র একটা পরিবর্তন করেছেন তারা। শরিফুলের জায়গায় তাইজুলকে খেলানো হয়েছে।




অথচ ব্যাট হাতে প্রথম দু’ম্যাচেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি শান্ত। তৃতীয় এক দিনের ম্যাচটাতেও তিনি ব্যর্থ। ১৩ বলে মাত্র এক রান করতে পেরেছেন এই ওপেনার।




তৃতীয় ম্যাচে সাইড বেঞ্চের অনেককে দেখা হবে জানিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, “এখন আমাদের সময় এসেছে বেঞ্চ স্ট্রেংথ দেখে নেওয়ার।




সাধারণত যখন পয়েন্টসের ব্যাপার থাকে, তখন সুযোগ থাকে না। কিন্তু এরকম সিরিজে যদি ২-০তে এগিয়ে যান, তখন যারা খেলেনি বা যাদেরকে নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরে ঘুরছি, তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এটির জন্য আমারও এক-দুই ম্যাচ মিস করতে হলে, ইটস ফাইন। কোনো সমস্যা নেই।”




তিনি আরো বলেন, “বেঞ্চ স্ট্রেংথ অবশ্যই আমাদের পরীক্ষা করা উচিত। এই একটা জিনিস বাংলাদেশের ক্রিকেটে আমরা খুব কম করি। সব ম্যাচ তো আমরা অবশ্যই জিততেই চাই।




তবে মাঝেমধ্যে এটা করা খুব জরুরি, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। কারণ, কে জানে, বড় সিরিজে গিয়ে দুজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার চোট পেতেই পারে। এই জায়গায় যদি আমরা বাইরে থাকাদের দেখতে না পারি,




তাহলে দেখব কোথায়। কারণ হঠাৎ যদি কেউ চোটে পড়ে যায়, তখন একটা ছেলে কোনো ম্যাচ অনুশীলন ছাড়া এসে খেললে তার কাজটা একটু কঠিন হয়ে ওঠে। তাই সম্ভবত শেষ ম্যাচে এরকম অনেকে খেলবে, যারা খুব বেশি খেলেনি।”




তৃতীয় ম্যাচে অন্যদের পরখ করা হবে জানিয়ে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলে ছিলেন “শেষ ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক থেকে। এতদিনে এত গুরুত্বপূর্ণ সব ওয়ানডে সিরিজ খেলেছি,
যেখানে পয়েন্ট খুব জরুরি। দলে পরিবর্তনের কথা খুব একটা ভাবনায় আনা যায়নি। তবে এখানে সুযোগ আছে পরখ করার। কারণ ২০২৩ বিশ্বকাপে তাকিয়ে কিছু ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়ার ব্যাপার আছে।”
দীর্ঘ প্রায় অর্ধ দশক দলের বাইরে ছিলেন এনামুল হক বিজয়। গত মৌসুমে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ওয়ানডে ফরম্যাটে রেকর্ড গড়েন তিনি। ১৫ ম্যাচে ৮১.২৫ গড়ে এক হাজার ১৩৮ রান করে ‘রেকর্ড’ গড়েন তিনি।
এরপরই ওয়ানডে ও টি-২০ দলে সুযোগ মিলে তার। ইয়াসির আলী রাব্বি চোটে পড়লে টেস্ট দলেও ডাক মিলে বিজয়ের। গিয়েই সুযোগ পান একাদশে। কিন্তুু সুবিধা করতে পারেননি।