



আর মাত্র ১২৭ দিন পর শুরু হবে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য মহাযজ্ঞ মাতবে রোনালদো-মেসিদের পায়ের জাদুতে। বোদ্ধাদের মতে, ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপেই তৈরি হবে দুই কিংবদন্তির বিদায়ের মঞ্চ।




মেসি-রোনালদোদের মতো আরো অনেক তারকা চার বছর পর ঘুরে ফের আরেকটি আসরে খেলতে পারবেন কি না তাতে রয়েছে যথেষ্ট শঙ্কা। দীর্ঘ সময় ধরে ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করা এই খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপে গোলসংখ্যা কতো?




কাতারে কি তারা গড়তে পারবে নতুন কোনো রেকর্ড? চলুন জেনে নেয়া যাক- টমাস মুলার: রানিং খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬টি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেছেন টমাস মুলার।




জার্মান তারকার গোল সংখ্যাও বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ, ১০টি। কাতার বিশ্বকাপের একেকটি গোল হতে পারে বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকারের রেকর্ড সমৃদ্ধ করার পাথেয়।




বিশ্বকাপে এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে মুলারের প্রয়োজন ৭ গোল। যদিও এক আসরে এই সংখ্যক গোল আকাশ-কুসুম কল্পনা ছাড়া কিছু নয়।




ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: বিশ্বকাপে গোল সংখ্যায় ডাবল ফিগার ছোঁয়ার হাতছানি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সামনে। পর্তুগাল অধিনায়ক ৪টি বিশ্বকাপে মাত্র ৬টি ম্যাচ খেলেছেন।




প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়েছেন মোট ৭ বার। কাতারে ১০ গোল পূর্ণ করতে পারলে রোনালদো টপকাবেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি ইউসেবিওকে (৯ গোল)।




লিওনেল মেসি: মেসিও ৪ বার বিশ্বকাপে খেলেছেন। ১১ ম্যাচে পিএসজি তারকার গোল সংখ্যা ৬টি। গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার পর দ্বিতীয় আর্জেন্টাইন হিসেবে বিশ্বকাপের গোলসংখ্যায় ডাবল ফিগার ছুঁতে মেসির প্রয়োজন আর মাত্র ৪ গোল।




লুইস সুয়ারেজ : দুই অঙ্কের কোঠা ছুঁতে উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজের প্রয়োজন ৩ গোল। ৬ ম্যাচে ৭ গোল এই তারকা খেলোয়াড়ের। বিশ্বকাপে উরুগুয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওস্কার মিগুয়েজকে ছুঁতে ১ গোল প্রয়োজন সুয়ারেজের।




হ্যারি কেইন: ২০১৮ বিশ্বকাপটা দুর্দান্ত কাটিয়েছেন টটেনহ্যাম হটস্পারের ইংলিশ খেলোয়াড় হ্যারি কেইন। দলকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর মিশনে ৩ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট।




সাকুল্যে বিশ্বকাপে কেইনের গোল সংখ্যা ৬টি। কাতারে ৪ গোল করতে পারলে ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারকে ছুঁতে পারবেন তিনিবিশ্বকাপে ১০ গোল।




বিশ্বকাপ ফুটবলে মাত্র ৬ জন ১০টি করে গোল করার কীর্তি দেখিয়েছেন এখন পর্যন্ত। তারা হলেনÑ পোল্যান্ডের জেগোর্জ ল্যাতো, পেরুর টেইফিলো কুবিলাস, আর্জেন্টিনার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, ইংল্যান্ডের গ্যারি লিনেকার এবং জার্মানির টমাস মুলার।