



ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অনিশ্চিত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভবিষ্যৎ। রেড ডেভিলরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি। ফলে এই ক্লাবে আর খেলতে চান না সিআর সেভেন।




চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার জন্য অন্য কোথাও যেতে চান। এ নিয়ে ম্যানইউর কাছে ক্লাব ছাড়ার আবেদনও করেছেন এই পর্তুগিজ সুপারস্টার।রোনালদো আগামী মৌসুমে কোন ক্লাবের হয়ে খেলবেন?




এ প্রশ্নের সমাধান এখনও হয়নি। বায়ার্ন মিউনিখ এবং পিএসজি তাকে কেনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। চেলসির আগ্রহ ছিল সিআর সেভেনকে কেনার বিষয়ে।




এখন শোনা যাচ্ছে, ক্লাবটির কোচ টমাস টুখেল আগ্রহী নয় রোনালদোর ব্যাপারে। আবার ম্যানইউর নতুন কোচ এরিক টেন হাগ বলেছেন, রোনালদো বিক্রির জন্য নয়।




এই যখন পরিস্থিতি, তখন সৌদি আরবের একটি ক্লাব ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জন্য একটি মেগা ডিলের প্রস্তাব দিয়ে বসে আছে। পর্তুগালের সাংবাদিকরা জানান,




রোনালদোকে দুই বছরের জন্য পেতে চায় মধ্যপ্রাচ্যের ক্লাবটি। এই দুই বছরের জন্য মোট ২৫০ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডের (প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা) চুক্তি সম্পন্ন করতে প্রস্তুত তারা।




পর্তুগিজ সংবাদ মাধ্যম সিএনএন পর্তুগাল অবশ্য সেই ক্লাবের নাম প্রকাশ করেনি। তবে যে প্রস্তাব তারা দিয়েছে- তা তো রীতিমতো বিস্ময় জাগানিয়া।




প্রতি বছর রোনালদোকে পারিশ্রমিক বাবদ দেওয়া হবে ১০৫ মিলিয়ন পাউন্ড। দুই মৌসুমে মোট ২১০ মিলিয়ন পাউন্ড (২৫০ মিলিয়ন ইউরো, প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা) পারিশ্রমিক পাবেন তিনি।




সে সঙ্গে ম্যানইউর সঙ্গে ট্রান্সফার চুক্তি করা হবে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের। এছাড়া রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেজকে সৌদির সেই ক্লাবটির পক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করার জন্য দেওয়া হবে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড।




গত বছর জুভেন্টাস থেকে রোনালদোকে ক্লাবে ফিরিয়ে আনার জন্য ম্যানইউ ট্রান্সফার ফি বাবদ খরচ করেছিল ১২.৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড। রেড ডেভিলদের সঙ্গে রোনালদোর চুক্তি হয়েছিল দুই বছরের। সঙ্গে এক বছর বাড়ানোর অপশনও রাখা হয়েছিল।




গত মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় রোনালদো করেছিলেন ২৪ গোল। তবুও ম্যানইউ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করতে পারেনি। প্রিমিয়াল




লিগ টেবিলে ৬ নম্বরে থেকে শেষ করেছিল তারা। এ কারণেই মূলত ক্ষুদ্ধ হন রোনালদো এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার জন্য ভিন্ন কোনো ক্লাবে যেতে চান।




ম্যানইউ প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায়। এর আগে তারা গিয়েছিল থাইল্যান্ডে। দুই দেশে সফর থেকেই নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন রোনালদো।