



জাতীয় দলে ফিরতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে এনামুল হক বিজয়কে। নিয়মিত পারফর্ম করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। আলোচনায় আসতে রেকর্ড গড়তে হয়েছে সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।




হাজারের বেশি রান করে রীতিমতো নির্বাচকদের বাধ্য করেছেন দলে ফেরাতে। নির্বাচকরা বিজয়ের এমন পারফরম্যান্সের প্রতিদানটা দিয়েছেন অদ্ভূতভাবে।




৫০ ওভারের পারফর্মারকে খেলিয়ে দেয়া হলো অন্য দুই ফরম্যাটে। তাতে প্রত্যাশিতভাবেই লাভের চেয়ে ক্ষতিটা হলো বেশি। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে পুরোপুরি ব্যর্থ বিজয়।




ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টিতে বিজয় ২৫ বল খেলে রান করেছেন ২৯। গড় দশেরও কম। ৭ বছর বাদে এমন কন্ডিশনে হুট করে খেলিয়ে দিয়ে এই ক্রিকেটারকে বরং বিভ্রান্ত করা হয়েছে বলে মত নাজমুল আবেদীন ফাহিমের।




গণামাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফাহিম বলেন, ‘বিজয়কে ৫০ ওভারের খেলা থেকে বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি আর ৫০ ওভারের খেলা একবারে এক রকম নয়।




সেটা হয়তো কিছুটা হলেও তাকে বিভ্রান্ত করেছে। কারণ, ওকে গিয়েই বড় শট খেলার চিন্তা করতে হচ্ছে। কুইক রান করতে গিয়ে সে অনেক রিস্ক নেয়। যারা অনেক বেশি রিস্ক নেয়,




তাদের পক্ষে প্রত্যেক ম্যাচে রান করাটা খুব কঠিন। সবসময় করতে পারে না। এ বিষয়গুলো দেখা দরকার। সবচেয়ে বেশি কে রান করেছে, সবচেয়ে বেশি কে সেঞ্চুরি করেছে–এসবের ওপর ভর করেই ক্রিকেটার নির্বাচন করা উচিত নয়।’




ফাহিম মনে করেন, দল নির্বাচন প্রক্রিয়াটা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশ দলে। কেবল রান নয়, কোন ফরম্যাট, পজিশন, আর কোন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়রা পারফর্ম করছে, সেদিকেও দিতে হবে মনোযোগ।




তিনি বলেন, ‘দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমরা যাদের নিচ্ছি তাদের মানসিকতা কতটুকু এ খেলাটার সঙ্গে যায়, এটা ভাবাটা খুব দরকার। আমরা দেখি অনেক রান করেছে।




সেটি যথেষ্ট নয়। কীভাবে করেছে, কী ধরনের খেলায় করেছে। তার মধ্যে ওই জিনিসটা আছে কি না। এ জায়গাটায় বোধহয় বিজয় ততটা প্রস্তুত নয়। আমার মনে হয়, ক্রিকেটারদের বাছাই করার ক্ষেত্রে এসব বিষয় দেখা খুব জরুরি।’




ওয়ানডেতে রেকর্ডগড়া বিজয় উপেক্ষিত থেকেছেন ওয়ানডে সিরিজেই। বাকি থাকা দুই ম্যাচেও সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর তা হলে, এত বছর পর জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের গল্পটা দুঃস্বপ্নের মতো থেকে যাবে এই ক্রিকেটারের কাছে।