টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবির পর টনক নড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পাকিস্তান সিরিজে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্বাস বিসিবির।




তবে আর আগে জাতীয় দলে ব্যাপক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে এত শত পরিবর্তন করে কি আদৌ কোন ভাল অবস্থানে যেতে পেরেছে বাংলাদেশ? নিজেদের মাটে ইচ্ছেমত পিচ বানিয়ে দিনশেষে দেশের বাহিরে খেলতে গেলে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয় বাংলাদেশকে তবে এর জন্য আসলে দায়ী কে?




বিসিবি দুই একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার বাঁচাতে দিনের পর দিন সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে তাদের। তবে এই নিয়ম টা কি সবার ক্ষেত্রেই সমান? দেশের ক্রিকেটে পারফর্ম না




করতে পেরে দল থেকে বাদ পড়া আর তারপর একেবারেই হারিয়ে যাওয়া ক্রিকেটার অনেক আছেন। জুনায়েদ সিদ্দিকীও সেই তালিকারই একজন ক্রিকেটার।




জুনায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১২ সালে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনো খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি থেকে কি একটু আগেভাগেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল জুনায়েদকে? অন্তত পরিসংখ্যান তো সেটাই বলছে।




মাত্র ৭টা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে জুনায়েদ সবমিলিয়ে রান করেছেন ১৫৯, গড়টাও মন্দ নয়, ২৩ ছুঁইছুঁই। সবচেয়ে নজরকাড়া দিক হচ্ছে তার স্ট্রাইকরেট, ১৪৭ ছাঁড়ানো!




টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে স্ট্রাইকরেট, আর সেই স্ট্রাইকরেটেই যেন এভারেস্ট পার করে ফেলেছেন তিনি। ১৫০ এর আশেপাশে স্ট্রাইকরেট তো বর্তমান বাংলাদেশ দলের কারোরও নেই।




২টা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন জুনায়েদ, ২০০৭ আর ২০০৯ সালে। প্রথমবারে অভিষেক ম্যাচে নেমেই প্রায় ১৪৫ স্ট্রাইকরেটে খেলেছিলেন ৭১ রানের দারুণ




একটা ইনিংস, যেটা এখনো পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ ইনিংস হয়ে আছে। ২০০৯ এর বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলেছিলেন ২টা, মোট রান ৫৪ হলেও চোখ কপালে তুলে দিচ্ছে স্ট্রাইকরেট, যা ২০০!




টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফিফটিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। তবে জুনায়েদ যে নিয়মিত সুযোগ পেয়ে গেছেন সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই। ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ৫ বছরে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মোটে ৭টা।




আবার সেই ৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে অসাধারণ স্ট্রাইকরেট থাকার পরেও অবহেলিত হয়েছেন তিনি, বাদও পড়েছেন দল থেকে। আর ২০১২ সালের পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর একটা ম্যাচও খেলেননি জুনায়েদ।
তার ব্যাটিং, ম্যাচ খেলা, পারফরম্যান্স, পরিসংখ্যান- সবকিছুই এখন থেকে প্রায় ১০ বা তারও বেশি বছর আগের ঘটনা। বর্তমানের মত এতোটা ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট বা চার ছক্কার ফুলঝুরিও সেসময় ছিল না। তারপরেও জুনায়েদের পারফরম্যান্স ছিল অবশ্যই প্রশংসনীয়, আরো কিছু ম্যাচে তিনি সুযোগটা অন্তত পেতেই পারতেন।