



সৌম্য সরকার ও শান্ত ফর্মে ফেরাতে আর কী করতে পারে বিসিবি? বিশ্বকাপ সফরে বাংলাদেশ এবারও স্বপ্ন দেখেছিল জয়ের। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে যাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার কথা ছিল তারা কী সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন?




জাতীয় দলের দুই তারকা ব্যাটার বিশ্বকাপেও ছিল সুপার ফ্লপ। অথচ এই শান্ত-সৌম্যদের জায়গায় যদি অন্য ক্রিকেটাররা দিনের পর দিন এমন করে যেত তাহলে এতদিন সমালোচনার ঝড় বয়ে যেত।




দল থেকে বাদ পড়ে দেশেও ফিরে আসতে হতো তাদের। অথচ বিদেশ সফরে এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের পরও সৌম্য-শান্তরা কিসের জোরে দিনের পর দিন সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে তীব্র সমালোচনা।




এই বেকার ক্রিকেটারদের জন্য টাইগার একাদশে জায়গা হচ্ছেনা অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের। এইতো ধরুন গত কয়েকমাস যখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দল লজ্জার ষোলকলা পূর্ন করে তখন দেশীয় ক্রিকেটে দারুণ এক রেকর্ড করেছেন বাংলাদেশের একসময়ের আলো জ্বালানো স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র।




প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক দারুণ ব্যাপার। বাংলাদেশে এমন কীর্তি কেবল আছে আব্দুর রাজ্জাকের।ক্রিকেট বিশ্বে অহরহ থাকলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি দারুণ অর্জন। বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ড শুরুর আগে এই কীর্তি থেকে ৪ উইকেট দূরে ছিলেন এনামুল হক জুনিয়র।




সিলেটে চতুর্থ দিনে জাহিদ জাভেদের উইকেটটি নিয়েই ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন বাঁহাতি স্পিনার। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন তার অনুভুতির কথা। ৫০০ উইকেট প্রাপ্তির বিষয়ে এই স্পিনার বলেন,




“এটা অন্যরকম ব্যাপার। আমার জন্য বিশেষ অনুভূতির। এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। এতদিন ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি ভালোবাসার টানেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের প্রতি যে একাগ্রতা, সেটার ফল পেলাম।




২০১৩ সালের পর জাতীয় দলের হয়ে আমার টেস্ট খেলা হয়নি। তারপরও মনের জোর দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চালিয়ে গেছি। নিজের কষ্টের অর্জন পেলাম।”




নিজেকে এখনও সচল রাখা উল্লেখ করে এনামুল বলেন, “এটা অবশ্যই কঠিন কাজ। এগুলো আসলে পূর্বসূরিরা করেছেন, তো তাদের দেখেও শেখা যায়। আমাদের বিভাগীয় দলেও ক্রিকেটার ছিলেন। রাজিন সালেহ ছিলেন, উনাকে আমি অনুসরণ করেছি। আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন। উনি জানতেন যে উনাকে নাও ডাকতে পারেন। কিন্তু খেলা বন্ধ করেননি। ভালো ক্রিকেট খেলেছেন।”




নানা প্রতিকুলতায় খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “সত্যি বলতে, লাল বলের প্রতি আমার আলাদা একটা অনুভব ছিল সবসময়। শুরু থেকে স্বপ্ন ছিল যে টেস্ট ক্রিকেট খেলবো। টেস্ট ক্রিকেট খেলার পর যখন বাদ পড়লাম, তখনও লাল বলের প্রতি আমার ঝোঁক ছিল।




নিজে নিজেই ভেবেছি, খেলবো এবং নিজের সিলেট বিভাগকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যাবো। সত্যি কথা বলতে, যে পারিশ্রমিক আমি ক্রিকেট খেলে পাই, তা দিয়ে আমার সংসার চলে না, কিন্তু খেলাটা আমার আবেগের জায়গা, আমি মনের আনন্দে খেলছি।”




এছাড়াও জাতীয় দলে ফেরার বিষয়ে এনামুল বলেন, “ইউ নেভার নো। একটা ভালো মৌসুম গেলে আমাকে ডাকতেও পারে। লাল বলের ক্রিকেটটাকে আমি ভালোবাসি, উপভোগ করি বলে খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছি। যখনই মনে হবে আমার ভেতরে আর কিছু নেই, তখন আমি ক্রিকেট ছেড়ে দেবো।”