



দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সর্বাধিক রান তুলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিততে পারল না ভারত। সেই সঙ্গে হলো না টানা ১৩টি টি ২০ আন্তর্জাতিক জেতার বিশ্বরেকর্ড।




গত টি ২০ বিশ্বকাপের পর আজ দিল্লিতে প্রথমবার টি ২০ আন্তর্জাতিকে পরাজয়ের মুখ দেখল রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশিক্ষণাধীন ভারত। প্রোটিয়াদের স্মরণীয় জয় এনে দিল ডেভিড মিলার ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের শতাধিক রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ।




এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ৪ উইকেটে ২১১ রান।




দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এটি ভারতের টি ২০ আন্তর্জাতিকে সবচেয়ে বেশি রান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি ২০ আন্তর্জাতিকেও। ১১টি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৪৮ বলে সর্বাধিক ৭৬ রান করেন ঈশান কিষাণ।




ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ১৫ বলে ২৩, শ্রেয়স আইয়ার ২৭ বলে ৩৬, অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ১৬ বলে ২৯ রান করেন। হার্দিক পাণ্ডিয়া দুটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ১২ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।




কেশব মহারাজ, আনরিখ নরকিয়া, ওয়েন পার্নেল ও ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস নেন একটি করে উইকেট। জবাবে হিসেব কষে রান তাড়া করতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা।




২.২ ওভারে ২২ রানে বাভুমাকে আউট করেন ভুবনেশ্বর কুমার। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ৮ বলে ১০ রান করেন। এরপর ডোয়েইন প্রিটোরিয়াস আগ্রাসী ব্যাটিং চালাতে থাকেন।




একটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে তিনি ১৩ বলে ২৯ রান করেন। তার মধ্যে হার্দিক পাণ্ডিয়ার এক ওভারেই ওঠে ১৮ রান। ৫.২ ওভারে ৬২ রানের মাথায় প্রিটোরিয়াসের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।




হর্ষল প্যাটেলের স্লোয়ারে ঠকে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান প্রিটোরিয়াস। ৮.৪ ওভারে কুইন্টন ডি কক ফেরেন দলের ৮১ রানে। ১৮ বলে ২২ রান করে তিনি অক্ষর প্যাটেলের শিকার।




এরপর রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে নিয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন গুজরাত টাইটান্সের হয়ে আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে থাকা ডেভিড মিলার। ২২ বলে তিনি পূর্ণ করেন কেরিয়ারের পঞ্চম টি ২০ অর্ধশতরান।




শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৬৪ রান। ১৬তম ওভারে আবেশ খানের বলে ডুসেনের ক্যাচ ফেলেন শ্রেয়স আইয়ার। শেষ চার ওভারে জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের দরকার ছিল ৫৬।
১৭তম ওভারে হর্ষল প্যাটেল ২২ রান দেন। ভ্যান ডার ডুসেন তিনটি ছয় ও একটি চার মেরে এই ওভারেই ৩৭ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেলেন। সমীকরণ দাঁড়ায় প্রোটিয়দের দরকার ৩ ওভারে ৩৪।
নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় ওভার পূর্ণ করতে না পারায় ভারত ফিল্ডার রাখার ক্ষেত্রেও অসুবিধায় পড়ে। তারই ফায়দা তুলতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৮তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার ২২ রান দেন, ফলে ১২ বলে ১২ রান দরকার হয়ে পড়ে প্রোটিয়াদের। ১১.৫ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ করার পর ১৮ ওভারে ২০০ রানে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। ১৯তম ওভারে হর্ষল প্যাটেল বল করেন, এই ওভারে আসে ৮ রানে। ফলে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৪ রান।