২০১২ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন জো রুট। চলতি বছরের ডিসেম্বরে পূরণ হবে তার ক্যারিয়ারের এক দশক। অথচ দশক পূরণের আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ হাজার রান করে ফেললেন তিনি। যা করতে পারেননি বিশ্বের আর কোনো ব্যাটার।




গতবছর একের পর এক সেঞ্চুরি বেরিয়েছে রুটের ব্যাট থেকে। কিন্তু দল হিসেবে জয় পাচ্ছিল না ইংল্যান্ড। তাই নিজে ভালো খেলার পরও দলের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন রুট। দায়িত্ব ছাড়ার পরেও সমানতালেই ছুটছে তার ব্যাট।




নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন রুট। যা [ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছে ৫ উইকেটের সহজ জয়।] আর এ ইনিংসের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ও বিশ্বের ১৪তম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রুট।




মাত্র ৩১ বছর ১৫৭ দিন বয়সে অভিজাত এ ক্লাবে ঢুকেছেন তিনি। ঠিক তার সমান ৩১ বছর ১৫৭ দিন বয়সেই ১০ হাজার রান পূরণ করেছিলেন ইংল্যান্ডের আরেক সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। বয়সের হিসেবে দশ হাজার রানের ক্লাবে এ দুজনই সর্বকণিষ্ঠ ব্যাটার।




তবে অন্য জায়গায় ঠিকই কুককে পেছনে ফেলেছেন রুট। ক্যারিয়ার শুরুর পর দশ হাজার রান করতে কুকের ১০ বছর ৮৭ দিন সময় লেগেছিল। তাকে দুইয়ে ঠেলে দিয়ে ক্যারিয়ারের নয় বছর পাঁচ মাস ২১ দিনের মধ্যেই দশ হাজার রান করে ফেলেছেন রুট।




অবশ্য ম্যাচের হিসেবে অনেক পিছিয়ে ইংলিশদের সাবেক অধিনায়ক। দশ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে তিনি খেলেছেন ১১৮ টেস্টের ২১৮টি ইনিংস। যেখানে ৫৩টি ফিফটির সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ২৬টি সেঞ্চুরি। দ্রুততম দশ হাজার রানের তালিকায় রুটের অবস্থান দশ নম্বরে।




সবচেয়ে কম ১৯৫ ইনিংসে দশ হাজার রান করেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং ও কুমার সাঙ্গাকারা। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের তালিকায়ও সবার ওপরে শচিন-পন্টিং। ভারতীয় ব্যাটিং ঈশ্বর করেছেন ১৫৯২১ রান, পন্টিংয়ের নামের পাশে রয়েছে ১৩৩৭৮ রান।




রুটের বয়স এখন মাত্র ৩১ বছর। ফর্ম ধরে রাখতে আরও অন্তত ৪-৫ বছর অনায়াসেই খেলতে পারবেন তিনি। সেক্ষেত্রে পন্টিংয়ের তো বটেই, শচিনের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও ভেঙে দেওয়ার সুযোগ থাকছে তার সামনে। সত্যিই তা পারবেন কি না, উত্তর দেবে সময়।