



আন্তর্জাতিকভাবেই বেড়েছে সবকিছুর খরচ। যার প্রভাবে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও। তাই এখন থেকে খরচ বাঁচাতে যেকোনো বিদেশ সফরে সদস্য সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।




শুধু তাই নয়, বোর্ডের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে সম্ভাব্য সকল খরচ কমানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিসিবির পরিচালন পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।




সভা শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নতুন বছরের বাজেটে সবকিছুর খরচ কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।




সংবাদ মাধ্যমে ব্রিফিংয়ের একদম শেষে পাপন বলেন, ‘আমরা দেখছি খরচ অসম্ভব হারে বেড়ে গেছে। অনেক কিছুর খরচ বেড়েছে। উদাহরণস্বরুপ আগে যে টিকিট ভাড়া ছিল ৩-৪ লাখ,




সেটি এখন হয়ে যাচ্ছে ১০-১১ লাখ। হোটেল ভাড়া যেটা ছিল বড়জোর ২৫০ ডলার, সেটি এখন কমপক্ষে ৪০০-৫০০ ডলার করে লাগছে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এতো বেশি করে দেওয়ার পরেও পাওয়া যাচ্ছে না।




তো খরচ একটা বড় ইস্যু। সেজন্য আজকের সভায় আমরা বলেছি এই খরচ কমিয়ে আনতে হবে। এতোদিন আমরা যেভাবে (বিদেশ সফরে) পাঠিয়েছি, বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতিতে সতর্কতাস্বরুপ অনেক বাড়তি খেলোয়াড়-স্টাফ পাঠিয়েছি।’




এখন সেটি কমিয়ে আনার আভাস দিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। এছাড়া যেহেতু এখন বাইরে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না, সেজন্য বোর্ডকে সামগ্রিকভাবে বলা হয়েছে প্রত্যেকটা বাজেট কমিয়ে আনতে হবে।’




আর এই খরচ বাঁচানোর বিষয়টি আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়েই শুরু হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই শুরু। এখানেও যাদেরকে না পাঠালেও চলে… এরকম কিছু হয়তো বাদ যাবে। তার মানে আমাদের ঘোষিত স্কোয়াডে খেলোয়াড় সংখ্যা কমতেও পারে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়।’




বিসিবি সভাপতির শেষ কথা, ‘এছাড়াও আমাদের সবাই এখন যার যার নিজের ডিপার্টমেন্টের নতুন বছরের বাজেট পেশ করবে। তাদেরকে বলা হয়েছে,




এবারের বাজেট যেনো আগের বাজেটের চেয়ে না বাড়ে। আমাদের নতুন নতুন অনেক কিছু করার কথা ছিল। সেগুলো আপাতত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া ৩-৪ মাসের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে।’