



ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে উড়িয়ে লা ফিনালিসিমা শিরোপা জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ৩-০ গোলে জেতা ম্যাচটিতে কোনো গোল না করলেও তার সহযোগিতায় প্রথম ও শেষ গোলটি হয়।




ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব চোখধাঁধানো অপ্রতিরোধ্য নৈপুণ্যে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সাতবারের ব্যালন ডি অর জয়ী তারকা মেসি। মেসি।




দলের তিন গোলের দুইটিতেই অ্যাসিস্ট করেছেন এই পিএসজির তারকা। ম্যাচে মেসির পাসেই প্রথম গোল করেছেন লাউতারো মার্টিনেজ। ২৮তম মিনিটে বক্সে ঢুকে মেসি বল বাড়িয়ে দেন মার্টিনেজকে।




খুব কাছ থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান ইন্টার মিলানের এই ফরোয়ার্ড। আর একদম শেষ দিকে পাওলো দিবালার গোলেও ছিল মেসির সরাসরি অবদান।




এ দুই অ্যাসিস্টের বাইরে বারবার ইতালির রক্ষণে হানা দিয়েছেন মেসি। গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার দৃঢ়তায় বেশ কয়েকবার দারুণ আক্রমণ করেও গোল করতে পারেননি তিনি।




পুরো ম্যাচে ৮ শট ও ৯২ শতাংশ পাস সঠিক দিয়েছেন। ৪টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন মেসি। এছাড়া ৫টি ফাউল জিতে নিয়েছেন তিনি। দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।




ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি যেকোনো দলকে মোকাবিলা করতে। আজকের পরীক্ষাটি দারুণ ছিল। কার,ণ ইতালি খুব ভালো দল। আমরা জানতাম ম্যাচটি খুব ভালো হতে চলেছে এবং শেষ চ্যাম্পিয়ন হতে পারায় খুবই আনন্দিত।’




লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেসি বলেন, ‘এটি অসাধারণ এক ফাইনাল ছিল। পুরো মাঠভর্তি আর্জেন্টাইন (সমর্থক), কী অসাধারণ অভিজ্ঞতা! আমরা এখানে খুবই সুন্দর সময় কাটালাম।’