আইপিএল ১৫তম আসরে এসে আবারও পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন। প্রথমবার অংশ নিয়েই আইপিএলের শিরোপা নিজেদের দখলে নিয়ে নিল গুজরাট টাইটান্স।




প্রথম রাউন্ড ও কোয়ালিফায়ারে ব্যাটে-বলে সমান তালে পারফর্ম করে ফাইনালেও সেই ঝাঁঝ বজায় ছিল গুজরাটের। রাজস্থানের বিপক্ষে তারা শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে জিতেছে ৭ উইকেটে।




আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। তবে অধিনায়কের এই সিদ্ধান্ত যে খুব একটা ফলপ্রসূ ছিল না তা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে থাকে।




উদ্বোধনী জুটিতে জিসওয়াল ও জস বাটলার মিলে ৩১ রানের জুটি গড়লে তা বিচ্ছিন্ন হয় ১৬ বলে ২২ রান করে জিসওয়াল সাজঘরে ফিরে গেলে। কিছুটা ধীরগতির ব্যাট করতে থাকেন বাটলারও। তার সাথে অধিনায়ক স্যামসন যোগ দিলেও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হন তিনি।




১১ বল মোকাবেলায় ১৪ রান করে স্যামসন প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটলে পাডিকল-হেটমেয়াররাও ব্যর্থতার কাতারে যোগ দেন। ৩৫ বল মোকাবেলায় ৩৯ রান করে জস বাটলার ৩৯ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার শিকারে পরিণত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে বাকি ব্যাটাররা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।




নিচের সারির ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩০ রানে রাজস্থানের ইনিংস। ১৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা গুজরাট টাইটান্স দলীয় ৯ রানেই হারায় ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহাকে।




তার বিদায়ের পর অবশ্য টিকে ছিলেন শুবম্যান গিল। ম্যাথু ওয়েডকে সাথে নিয়ে জুটি গরার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও মাত্র ১০ বল টিকে থাকা ওয়েড ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয়।




অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার সাথে অবশ্য ক্যামেস্ট্রি জমিয়ে তোলেন গিল। এই জুটিই মূলত জয়ের ভিত গড়ে দেয় দলকে। ৩০ বল মোকাবেলায় ৩৪ রান করে পয়ান্ডিয়া যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তখন দল অনেকটাই জয়ের পথে এগিয়ে গিয়েছে।




পান্ডিয়ার বিদায়ের পর শুবম্যান গিল জয় নিশ্চিত করেন ডেভিড মিলারকে সাথে নিয়ে। মিলারের ১৯ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংসের সাথে শুবম্যান গিলের ৪৩ বলে অপরাজিত ৪৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারের ১১ বল বাকি থাকতেই তারা জয় পায় ৭ উইকেটের।




এই জয়ের মধ্য দিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে প্রথমবার অংশ নিয়েই শিরোপা নিজেদের করে নিল হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্স।




এদিকে গুজরাটকে শিরোপা জেতানোর পর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, ‘’আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি তা দেখাতে চেয়েছিলাম। আজকের দিনটাতে বোলিংয়ের দিক থেকে সেরাটা দিয়েছিলাম।
আমার স্পেলের দ্বিতীয় বলে সাঞ্জুকে আউট করার পর দেখলাম উইকেটে জোরে আঘাত করতে পারলে একটা কিছু হচ্ছে। সঠিক লেন্থ বজায় রেখে বল করে ব্যাটারদের খেলতে বাধ্য করা। আমার দল আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আমি সবসময় একই ধরণের। এক মৌসুমে আমি খারাপ করলেও যদি দল জিতে তাহলে ভালো লাগবে। ব্যাটিং আমার সবসময় কাছে আসে ও হ্ররুদয়ের কাছাকাছি থাকে। নিলামের পর জানতে পেরেছিলাম আমাকে আরও উপরে ব্যাট করতে হবে।‘’