টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে শ্রীলঙ্কায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের। কিন্তু দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি একদমই ভালো নয়। অর্থনৈতিকভাবে সংকটে পড়া দেশটি এবং উত্তপ্ত রাজনৈতিকভাবেও।




যে কারণে সঠিক সময়ে শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ আয়োজন করা যাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। শ্রীলংকা যদি এশিয়া কাপ আয়োজন করতে না পারে তাহলে এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।




যতদূর জানা গেছে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। যদিও বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দী একমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে এই মুহূর্তে আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।




পাকিস্তানি এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে বাংলাদেশই শুধু একটা বিকল্প আর এসিসি শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে। আগস্টের শেষদিকে অথবা সেপ্টেম্বরের শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাত কোনোভাবেই বিকল্প হতে পারে না।”




যেখানে এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশকে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকেটডটকম।




এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালের দিন। এখনও কোনো কিছু চূড়ান্ত না হলেও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ আয়োজন করতে না পারলে বাংলাদেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় এসিসি। আরব আমিরাতের নাম উঠে আসলেও সেখানে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন এসিসির এক কর্মকর্তা।




এ প্রসঙ্গে এসিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ কেবলই একটি অপশন এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে এসিসি শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আগষ্টের শেষ দিকে এবং সেপ্টেম্বরের শুরুতে আরব আমিরাতে ম্যাচ আয়োজনের বিকল্প নয়।’




শ্রীলঙ্কার জনগণ এখন ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি ও উচ্চমূ্ল্য, দিনে দীর্ঘসময়ের লোডশেডিংয়ে নাকাল। তাতেই শ্রীলঙ্কাতে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।