প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে এমন ভাষণ বোধ হয় আর কোনো ব্যক্তিকে দিতে হয়নি। প্রথম ভাষণেই স্বীকার করে নিতে হয়েছে, দেশ কঠিন সংকটের মুখে।




কোন পথে সমাধান তা-ও জানা নেই। দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া প্রথম ভাষণে এমনই পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। খবর দ্য ডেইলিমিরর।




ভাষণে তিনি জাতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সত্যকে লুকানোর কোনো ইচ্ছা নেই আমার। জনগণকে মিথ্যা বলতে চাই না। আসলে দেশে চরম সংকট চলছে।




আমাদের হাতে মাত্র একদিনের জ্বালানি রয়েছে। বন্দরে তেলভর্তি জাহাজ রয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে ডলার না থাকায় সেসব তেলও আমাদের দিতে কেউ রাজি নয়।




সুতরাং আগামী দিনে সংকট নিশ্চিতভাবে আরো বাড়ছে। তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আপাতত সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। শ্রীলঙ্কার নতুন এই প্রধানমন্ত্রী বলেন,




আগামী কয়েকটি মাস শ্রীলঙ্কার সব নাগরিকের জন্যই খুব কঠিন যাবে। এই সময়ে ত্যাগ স্বীকার করা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।




বিদেশি সহযোগীরা সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরও আমাদের কিছুটা সময় খুব ধৈর্য সহকারে কাটাতে হবে। আমরা হয়তো এক সময় এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবো। কিন্তু তার জন্য নতুন কোনো পথ ধরতে হবে।




জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, দেশের এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আমাকে এই দায়িত্ব নিতে আমন্ত্রণ জানান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।




আমি সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছি। আমি শুধু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয় বরং একজন জাতীয় নেতা হিসেবেও এই দায়িত্ব নিয়েছি। রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, জাতির জন্য আমি এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি।




আমার উদ্দেশ্য এই দেশের সব মানুষ এবং তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ রক্ষা করা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও এই দায়িত্ব পালন করবো। আশা করছি যে চ্যালেঞ্জে পড়েছি তা কাটিয়ে উঠতে পারবো। এই কাজে আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।