জিতলে বেঁচে থাকবে শেষ চারের আশা, হারলে অনেকটাই ছিটকে পড়তে হবে প্লে অফের দৌড় থেকে। দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংস—নাবি মুম্বাইয়ে আজকের ম্যাচে দুই দলের সামনে ছিল এমন সমীকরণ।




পাঞ্জাবকে ১৭ রানে হারিয়ে প্লে অফে ওঠার সমীকরণ মেলানোর দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল ঋষভ পন্তের দিল্লি। এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এল দিল্লি। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সাতে পাঞ্জাব।




আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫৯ রানে অলআউট হয় দিল্লি। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারের মধ্যে ৫৪ রান তুললেও মূল্যবান তিনটি উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে পড়ে পাঞ্জাব।




চতুর্থ ওভারে জনি বেয়ারস্টোকে (২৮) দিল্লি পেসার আনরিখ নর্কিয়ে তুলে নেওয়ার পর ষষ্ঠ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন শার্দুল ঠাকুর। শিখর ধাওয়ান (১৯) ও ভানুকা রাজাপক্ষেকে (৫) তুলে নেন দিল্লি পেসার।




এরপর পাঞ্জাবের জুটি আর সেভাবে দাঁড়ায়নি। দশ ওভারের মধ্যে লিয়াম লিভিংস্টোন ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালসহ আরও ৩ উইকেট হারিয়ে তখনই হার দেখছিল পাঞ্জাব।




জিতেশ শর্মা এক প্রান্ত আগলে পাল্টা লড়াই চালিয়ে গেলেও অন্য প্রান্ত থেকে সতীর্থদের সমর্থন পাননি। জয়ের জন্য মেষ ৫ ওভারে ৫৯ রান দরকার ছিল পাঞ্জাবের।




জিতেন শর্মা ও রাহুল চাহার এখান থেকে চেষ্টা করলেও ১৮তম ওভারে জিতেনকে (৩৪ বলে ৪৪) অসাধারণ ক্যাচে তুলে নিয়ে পাঞ্জাবের পথটা আরও কঠিন করেন ডেভিড ওয়ার্নার।




শার্দুল ঠাকুরের বলে লং অফ থেকে প্রায় ১৫ গজ দৌড়ে ক্যাচটি নেন ওয়ার্নার। কাগিসো রাবাদা সে ওভারে একটি ছক্কা মারলেও শেষ বলে আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া পেসার।




শেষ দুই ওভারে ২৯ রানের লক্ষ্য মেলাতে পারেনি পাঞ্জাব। ৯ উইকেটে ১৪২ রানেই থেমেছে দলটির ইনিংস। দিল্লির হয়ে ৪ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।




এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি প্রথম বলেই হারায় ডেভিড ওয়ার্নারকে। এ মৌসুমে পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামা সরফরাজ খান দুইয়ে নেমে খেলেন ১৬ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস।




দিল্লিকে এরপর বলতে গেলে একাই টানেন মিচেল মার্শ। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে এ অস্ট্রেলীয় করেন ৪৮ বলে ৬৩ রান। ললিত যাদব ২১ বলে ২৪ ও শেষ দিকে অক্ষর প্যাটেল ২০ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সঙ্গ দিয়েছেন মার্শকে।




বোলিং ওপেন করতে আসা লিয়াম লিভিংস্টোন, সঙ্গে অর্শদীপ সিং নেন ৩টি করে উইকেট। ১টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। এ ম্যাচেও দিল্লি একাদশে নেই মোস্তাফিজুর রহমান। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে বসে রইলেন বাংলাদেশের এই পেসার।