গত বছর আইপিএলে ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে কতই না নাটক হয়েছিল। চোখের জলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। তার হাত ধরেই আইপিএলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি।




সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে প্রতি টুনামেন্টে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কিন্তু কয়েকটি ম্যাচে বাজে পারফরমেন্সের কারণে শেষ পর্যন্ত এ বছর আর হায়দ্রাবাদের থাকা হয়নি ডেভিড ওয়ার্নারের। নতুন দল দিল্লি ক্যাপিটালস ফিরেছেন তিনি।




সেই সাথে প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ইতিমধ্যেই তুলে নিয়েছেন চারটি হাফ সেঞ্চুরি। যার মধ্যে গতকাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে এবারের আসরে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেছেন তিনি।




তার এই অনবদ্য ইনিংসের কারণই গতকাল সানরাইজার্সকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০৭ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করেছিল দিল্লি।




জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করতে পেরেছে হায়দরাবাদ। যার সুবাদে ২১ রানের জয় পেয়েছে দিল্লি।হায়দরাবাদের আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না দিল্লির।




ইনিংসের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে যান ডানহাতি ওপেনার মানদিপ সিং। দ্বিতীয় উইকেটে ৩.৩ ওভারে ৩৭ রান যোগ করেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার।




যেখানে মার্শের অবদান ছিল মাত্র ১০ রান। এরপর অধিনায়ক রিশাভ পান্তের সঙ্গে মাত্র ৪.৪ ওভারে ৪৮ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। শ্রেয়াস গোপালের করা নবম ওভারে পরপর চার বলে তিন ছয় ও এক চার মেরে আউট হন পান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২৬ রান।




অধিনায়কের বিদায়ের পর দলকে বড় সংগ্রহ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন দুই বিদেশি রিক্রুট রভম্যান ও ওয়ার্নার। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে এ দুজন মিলে মাত্র ১১ ওভারে যোগ করেছেন ১২২ রান। যা দিল্লিকে নিয়ে গেছে ২০৭ রানে।




মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি ওয়ার্নার। তবে তাকে ননস্ট্রাইকে রেখে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ক্যারিবীয় রভম্যান। শেষ পর্যন্ত ১২ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৮ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন ওয়ার্নার।




অন্যদিকে ৩ চার ও ৬টি বিশাল ছয়ের মারে ৩৫ বলে ৬৭ রানের সাইক্লোন ইনিংস খেলেছেন রভম্যান। যার সুবাদে শেষ ৪ ওভারে ৬০ রান পায় দিল্লি।