প্রথম দেখায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ২৩ রানে হেরে গিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ফিরতি ম্যাচেই প্রতিশোধ নিয়ে নিলো তারা। এবার ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের ব্যবধান ১৩ রানের। এই জয়ের সুবাদে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে ফাফ ডু প্লেসির দল।




পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে ব্যাঙ্গালুরু। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের বেশি করতে পারেনি চেন্নাই। দশম ম্যাচে এটি তাদের সপ্তম পরাজয়।




রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাইয়ের পক্ষে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ডেভন কনওয়ে। মইন আলি ৩৪ ও রুতুরাজ গাইকদ করেছেন ২৮ রান। দলের আর কেউ তেমন বলার মতো কিছুই করতে পারেননি। ফলে ১৩ রানের জন্য আটকা পড়ে যায় চেন্নাই।




ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে তিনটি উইকেট নিয়েছেন হার্শাল প্যাটেল। তার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। এছাড়া চার ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় দুইটি উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।




এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭.২ ওভারে ৬২ রান যোগ করেন ডু প্লেসি ও কোহলি। যেখানে মাত্র ২২ বল খেলে ৩৮ রানের ঝড় তোলেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক ডু প্লেসি। তিনি ফেরার পর হতাশ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আউট হন ৩ বলে মাত্র ৩ রান করে।




ইনিংসের দশম ওভারে মইন আলির বলে বোল্ড হয়ে সমাপ্তি ঘটে কোহলির ৩৩ বলে ৩০ রানের ইনিংসের। যেখানে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়ের মার। অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকে চার বলেই ১৮ রান নেন তিনি। বাকি ২৯ বলে করতে পেরেছেন মাত্র ১২ রান।




কোহলি ফেরার পর ইনিংসের বাকি পথ এগিয়ে নেন মহিপাল, কার্তিক, রজত পাতিদাররা। রজতের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২১ রান, মহিপাল খেলেন ২৭ বলে ৪২ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ১৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে ১৭৩ রানে নিয়ে যান কার্তিক।




চেন্নাইয়ের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন মহেশ থিকসানা। মইন আলির শিকার ২৮ রানে ২ উইকেট। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ১ উইকেট পেলেও তিন ওভারে খরচ করেছেন ৪২ রান।