আরও একটি দুঃখের উপখ্যান ঘটবে নাকি কেউ ত্রাতা হয়ে এসে হাসি ফুটাবে টাইগারদের মুখে- এই চিন্তায় হাসফাস করছিলেন টাইগার সমর্থক থেকে শুরু করে দলের খেলোয়াড়,
কোচ সবাই। শেষ পর্যন্ত টাইগারদের মুখেই ফুটেছে হাসি। আর সেই হাসি এনে দেওয়ার নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ যখন ব্যাট করতে মাঠে নামেন তখনো ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়নি বাংলাদেশ।
তবে আফিফের উইকেটের সাথেসাথে বাড়ে হতাশা। সেই হতাশা আরো বাড়িয়ে দেন এবাদত। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও অবাক বনে গিয়েছিলেন এবাদতের উইকেট দেখে!
স্টাম্পের ভেতরে ঢুকে গিয়ে নিজেই হন হিট আউট। হাসান মাহমুদও টিকতে পারেননি। নয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন হারের ক্ষণ গুণছিল তখনই মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদীপ সেনের টানা দুই ওভারে
একটি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে আশা দেখান। সেই আশায় শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিয়েছে। দশম উইকেটে মুস্তাফিজের সাথে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে এক উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় এনে দিয়েছেন মিরাজ।
৩৯ বলে ৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে চারটি চার ও দুইটি ছক্কা। ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সেই জানিয়েছেন তিনি রোমাঞ্চিত।
মিরাজ বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ। সকল প্রশংসা ও কৃতিত্ব মহান আল্লাহর। এটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ ছিল। তাই আমি খুবই খুশি। ধন্যবাদ। আমি খুবই রোমাঞ্চিত।”
মিরাজ নিজেই বলছেন তার এই পারফরম্যান্স হয়ে থাকবে চির স্মরণীয়, “আমি অবশ্যই খুব খুব খুশি। কারণ ভারত অনেক বড় ও শক্তিশালী দল। তাই এই পারফম্যান্স আমার জন্য স্মরণীয় পারফরম্যান্স হয়ে থাকবে।”
এছাড়া ব্যাট হাতেও একটি উইকেট শিকার করেছিলেন মিরাজ। পেয়েছিলেন শিখর ধাওয়ানের মূল্যবান উইকেট। বোল্ড হয়েছিলেন অভিজ্ঞ ভারতীয় ওপেনার।
বোলিং নিয়ে মিরাজ বলেন, “হ্যা, আমি বোলিংও উপভোগ করেছি। কারণ সকালে উইকেট বেশ ট্রিকি ছিল। আমি কেবল চেষ্টা করছিলাম উইকেট সোজা বল রেখে বোলিং করে যেতে।”