Home / সর্বশেষ / ৪ বছর পর ওপেনিংয়ে সবচেয়ে বড় চমক নিয়ে আসছেন মাহমুদুল্লাহ

৪ বছর পর ওপেনিংয়ে সবচেয়ে বড় চমক নিয়ে আসছেন মাহমুদুল্লাহ

টেস্টের পর টি-টোয়েন্টির লড়াই। ক্রিকেটের এই দুই ফরম্যাটে এখনো নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে লড়ছে বাংলাদেশ দল। মাহমুদউল্লাহ

রিয়াদের নেতৃত্বে কুড়ি ওভারের সবশেষ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসবে আরো একটি বিশ্বকাপ।

এই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও মাথা ব্যথার কারণ দলের ব্যাটিং বিভাগ।

বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটে যে দুটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল, সেখানে পাঁচ ম্যাচে একাধিকার পরিবর্তন এসেছে ওপেনিং জুটিতে।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচেও নতুন ওপেনিং জুটির ইঙ্গিত দিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুনিম শাহরিয়ারের সঙ্গে দেখা যেতে পারে এনামুল হক বিজয়কে।

২ জুলাই প্রথম ম্যাচের আগে আজ শুক্রবার ডোমিনিকায় আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্সে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘মুনিম এখনো দলে নতুন।

বিজয় অনেকদিন পর মাত্র আসলো। ওদেরকে ভালো সময় দিতে হবে। ওরা যেন নিশ্চিন্তে খেলতে পারে এই নিশ্চয়তা দেওয়া টিম ম্যানেজমেন্ট ও আমার দায়িত্ব।’

সঙ্গে যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘সঠিকভাবে যেন সুযোগ পায়। এটা নিশ্চিত করা জরুরী। আমার তরফ থেকে আমি এটা চেষ্টা করব, ঠিকভাবে সুযোগ পেয়ে যেন নিজেদের গেমটা খেলতে পারে। আশা করি ওরা সুযোগ পাবে ও ভালো করবে।’

বিশ্বকাপের পর বদলাতে শুরু করে দলের ওপেনিং জুটি। গত পাকিস্তান সিরিজে লিটন দাস না থাকায় নাঈম শেখের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

ওই সিরিজের শেষ ম্যাচে শান্তকে সরিয়ে সাইফ হাসানকে দিয়েও চেষ্টা করা হয়। তবে লাভ হয়নি। সবশেষ ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজে লিটন ফিরলেও তাকে খেলানো হয় তিন নম্বরে।

নাঈম শেখের সঙ্গে এবার জুটি বাঁধেন মুনিম শাহরিয়ার। উইন্ডিজ সিরিজেও লিটনকে তিনে দেখা যেতে পারে। নাঈম না থাকায় দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা বিজয়ের রঙিন পোশাকে প্রত্যাবর্তন অনেকটাই নিশ্চিত।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনলেই কি ব্যাটিং ব্যর্থতা এড়ানো সম্ভব? ঘরের মাঠে কাজ চালানো গেলেও বিদেশে যে নাজুক অবস্থা টাইগারদের।

এর সমস্যা মিলবে কীভাবে? মাহমুদউল্লাহর ব্যাখ্যা, ‘আমি এই জিনিসটা দুইভাবে দেখি। হোম কন্ডিশনে আমরা অনেক বেশি ধারাবাহিক।

অ্যাওয়ে ম্যাচে উন্নতির ঘাটতি এখনো আছে। এখানে আরও ভালো হতে হবে, এটা আমি স্বীকার করি। বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা এখনো তরুণ, অনভিজ্ঞ।

ওদেরকে সময় দিতে হবে। বিশ্বকাপের আগে আমরা আরো ১০-১২টি ম্যাচ খেলব। ওরা যেন যথেষ্ট সুযোগ পায়। ওরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ওদের জন্যও ভালো,

দলের জন্যও ভালো।’ ২ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ডোমেনিকায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *