Home / সর্বশেষ / ১ ম্যাচ খেলেই নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন এনামুল বিজয়

১ ম্যাচ খেলেই নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন এনামুল বিজয়

ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে শনিবার (২ জুলাই) প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলে জায়গা পেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। প্রায় সাত বছর পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েই গড়লেন এক রেকর্ডও।

গত সাত বছরে বাংলাদেশ খেলেছে ৭৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এতো দীর্ঘ সময় এবং এতো ম্যাচ পর দলে জায়গা পাওয়ার রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন বিজয়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৫ সালে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়।সেই ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ।

এরপর দল থেকে বাদ পড়ার পর বাংলাদেশ এই সংস্করণে খেলেছে আরও ৭৯টি ম্যাচ। আর ২০২২ সালে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ, তখন বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখানো হয়ে গেছে এনামুলের।

এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল আবুল হাসানের দখলে। ২০১২ সালে খেলার পর এই পেসার আবার জাতীয় দলে ডাক পান ২০১৮ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এর মধ্যে বাংলাদেশের খেলা টি-টোয়েন্টির সংখ্যা ছিল ৫০।

এদিকে দুটি ম্যাচ খেলার মাঝে দলের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ মিস করা টি-টোয়েন্টির বিশ্ব রেকর্ডে এনামুল ছুঁয়ে ফেললেন তালিকার তিনে থাকা ইংল্যান্ডের জো ডেনলিকে।

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির পর ডেনলি আরেকটি ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৮ সালের অক্টোবরে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড খেলে ফেলেছিল ৭৯টি ম্যাচ।

আর এনামুল এবং ডেনলির উপরে আছে মাত্র দুই খেলোয়াড়। আর তারা দুইজনই ক্যারিবীয়। এ তালিকায় শীর্ষে আছেন ডেভন থমাস।

২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের, তবে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তিন বছরেরও বেশি সময়।

সে দফা বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন আরেকটি। তবে টি-টোয়েন্টিটি খেলার জন্য থমাসকে অপেক্ষা করতে হয় ৮ বছরের বেশি সময়।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলে ফেলেছে ১০২টি ম্যাচ!বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচটিও খেলেছেন তিনি, প্রায় ৬ মাসের বিরতির পর।

থমাসের পর থাকা পেসার ফিডেল এডওয়ার্ডসের ক্ষেত্রে বিরতিটি ৮৫ ম্যাচের। এনামুল বিজয় শুধু টি-টোয়েন্টিই নয়, টেস্টেও বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে লম্বা সময়ের পর ফেরার রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন। এর আগে নাজমুল হোসেন ২০০৪ সালের পর আবার জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন ২০১১ সালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *