ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য প্রাথমিকভাবে ঘোষিত তিন সিরিজের স্কোয়াডে টেস্ট দলে ছিলেন না বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে অন্য সাতজনের সঙ্গে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়ার কথা ছিল তার।
তবে আচমকাই শরিফুলকে দ্বিতীয় টেস্টের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই একপ্রকার হোমওয়ার্ক ছাড়াই উইন্ডিজের উদ্দেশে তড়িঘড়ি বিমান ঘরতে হচ্ছে এ তরুণ বাঁহাতি পেসারকে।
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উড়াল দেবেন তিনি। তার আগে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটারদের নিয়ে হোমওয়ার্ক করার তেমন সুযোগ পাননি সেটিও কথা প্রসঙ্গে বলে গেলেন শরিফুল।
সোমবার বিকেলে বিসিবি অ্যাকাডেমি থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমে শরিফুল জানিয়েছেন, গত রাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ফোন পেয়ে দ্বিতীয় টেস্টের দলে ঢোকার খবর পেয়েছেন তিনি।
তবে ইনজুরি কাটিয়ে ফিট হওয়ায় মানসিক প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শরিফুল বলেছেন, ‘কালকে রাতে জেনেছি। পাপন স্যার ফোন দিয়েছিলেন। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।
পাপন স্যার ফোন দিয়ে বললেন (যাওয়ার কথা)। তো আমি বললাম, জ্বী স্যার যাবো। (হোমওয়ার্ক করার সময়) আসলে এখনও পাইনি। যাওয়ার পর হয়তো (হাসি)।’
প্রথমে দলে না থাকলেও এখন চোট কাটিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের ফেরায় রোমাঞ্চের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার জন্যই (সুযোগ পাওয়া) খুবই রোমাঞ্চকর।
খুব ইচ্ছে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলার। যাচ্ছি এখন। দেখা যাক যাওয়ার পরে কী হয়। (ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে) মনে হচ্ছে ভালো অবস্থানে আছি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে কেমন বোলিং করতে হবে সেই প্রাথমিক ধারণাও পেয়ে গেছেন শরিফুল। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘আমি যা দেখেছি, ওইখানে বল জায়গায় করলেই সুবিধাটা পাওয়া যাচ্ছে। ওদের ক্ষেত্রেও, আমাদের ক্ষেত্রেও। চেষ্টা করবো লাইন ও লেংন্থ ঠিক রেখে বোলিং করার।’
এবারের ক্যারিবীয় নতুন একটি অভিজ্ঞতার মুখোমুখিও হতে শরিফুলকে। প্রথমবারের মতো ডিউক বলে টেস্ট খেলবেন তিনি। বাংলাদেশে সাধারণত এসজি বলে হয় টেস্ট ক্রিকেট। এসজি বলের তুলনায় ডিউক বলের সিম খাড়া ও শক্ত হওয়ায় পেসারদের জন্য সুবিধা থাকে বেশি সময় পর্যন্ত।
এই বলে খেলার রোমাঞ্চের কথা উল্লেখ করে শরিফুল বলেছেন, ‘ডিউক বলের আসলে গল্প তো অনেক শুনেছি। এখনও ধরিনি। ধরার পর বুঝতে পারবো। অবশ্যই রোমাঞ্চিত।’