আসন্ন ২০২৩ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলকে সামনে রেখে মিনি নিলামে মাত্র ২ জন বাংলাদেশি প্লেয়ার দল পেয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজন লিটন দাস আর অপরজন সাকিব আল হাসান। দু’জনকেই কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে নিয়েছেন।
লিটন দাস এবার প্রথমবার
আইপিএল খেলবেন আর সাকিব আবার কলকাতায় কামব্যাক করলেন। নিলামে কম দামে বাংলাদেশের এই দুই প্লেয়ারকে পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিন্তু তাদেরকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত মোটেই ঠিক হয়নি বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল। এই দুই তারকাকে নিয়ে কিছুটা কপাল চাপড়াতে হচ্ছে নাইট শিবিরকে এমনটাই দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর।
কলকাতা এবার মাত্র ২২ জন প্লেয়ার নিয়ে দল গড়েছে। যেখানে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ২৫ জনের দল তৈরি করেছে।
লিটন দাসকে ৫০ লাখ ও সাকিব আল হাসানকে দেড় কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছে কলকাতা।
প্রায় বিনা লড়াইয়ে এই দু’জনকে পেয়ে গেছে তারা। কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি এই দুই প্লেয়ারকে নিতে বিড করেনি। লিটন দাসকে দলে নেওয়ায় নাইট শিবির-এর
ওপেনিংয়ে সমস্যা মিটল বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে সাকিব আল হাসানকে দলে নেওয়ায় ফিনিশিংয়ে আন্দ্রে রাসেলের পাশে খেলার জন্য লোক মিলল।
এদিকে নিলামের পর একটি সাক্ষাৎকার দেন পাঞ্জাব কিংসের কোচ ওয়াসিম আকরাম। তিনি কলকাতার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
লম্বা দৌড়ের জন্য নাইটদের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বৈভব অরোরা ভালো পছন্দ।
লিটন দাস ভালো সিদ্ধান্ত কিন্তু ও পুরো আইপিএল খেলতে পারবে না। সাকিব আল হাসানও অধিকাংশ মরশুম খেলতে পারবে না, কারণ ওরা জাতীয় দলের হয়ে খেলবে। কিন্তু সব মিলিয়ে ওদের সই করানো একটা ভালো সিদ্ধান্ত।’
উল্লেখ্য এবার আইপিএলে পুরো সময় থাকতে পারবেন না বাংলাদেশের প্লেয়াররা। সেই কারণে অন্য ফ্র্য়াঞ্চাইজিগুলো তাদের নিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেনি।
তাইতো মাঝপথে সাকিব ও লিটন দাস বেরিয়ে গেলে সমস্যায় পড়বে কলকাতা। কারণ ওই সময় বাংলাদেশের ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা রয়েছে।
মিনি নিলামের আগে কলকাতার হাতে ছিল সবথেকে কম টাকা। ৭ কোটি টাকা নিয়ে তারা নিলামে নেমেছিল। সেখান থেকে বড় প্লেয়ারের পিছনে যেতে পারেনি তারা। তবুও স্যাম কারেনকে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল। শুরুতেই তা শেষ হয়ে যায়। কারণ স্যাম কারেনের দাম পৌঁছেছিল ১৮.৫ কোটি টাকা। ফলে তাঁকে নেওয়ার কোনও সুযোগই ছিল না।