বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে প্রম্ন করা হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন আমি যদি কোচিংও করাই, অধিনায়কত্বও করি তাহলে তো সমস্যা। চতুর্থ দিন খেলতে নামাটা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা।
বাংলাদেশের বোলাররা মাত্র ৭ ওভার বোলিং করলেন। দিনে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়লো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কেবল ওঠা-নামার খেলাই চললো আজ দিনের শুরুতে।
বাংলাদেশের ৭ উইকেটের এই হারে সবচেয়ে বেশি ব্যর্থতা ব্যাটারদের। তারা দাঁড়াতেই পারেনি ক্যারিবীয় বোলারদের সামনে। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়েছিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব-সোহানের দৃঢ়তায় ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে ২৪৫ রান করতে পেরেছিল টাইগাররা। আজ ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে ব্যাটারদের ওপর নিজের ক্ষোভ ঝাড়লেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তবে তার ক্ষোভ ঝাড়ার ধরণটা ছিল ভিন্ন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উল্টো ক্ষেপে যান তিনি। বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে প্রম্ন করা হলে ক্ষেপে গিয়ে সাকিব বললেন, ‘দেখুন! এটাতো আমার আসলে খুব একটা আলোচনার বিষয় না।
কোচেরই আলোচনার বিষয়। এখন আমি যদি কোচিংও করাই, অধিনায়কত্বও করি তাহলে তো সমস্যা।’ সাকিবের বক্তব্য হলো, নিজেদের কাজ নিজেরা করে ফেললে তো আর কোনো সমস্যা থাকে না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমার যতটুকু কাজ ততটুকুতে থাকাই ভালো।
আমার দায়িত্ব যতটুকু আছে, সেটা পালন করার চেষ্টা করবো। বাকি যাদের যে কাজটা আছে, সেটা করলেই সবার কাজটা সহজ হয়ে যায়।’ ব্যাটাররা যদি নিজেদের আরো মেলে ধরতে পারতো, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদেরকে আরও ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারতাম তাহলে ভালো হতো।
৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে যাওয়াটা ভালো বিষয় নয়। সেই প্রথম সেশন আমাদের ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছে। টেস্টে আমাদের প্রতিনিয়তই ধস নামছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
ব্যাটারদের রান করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এটা সহজ সমীকরণ। নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে সাকিবের জুটিটা অনেক পার্থক্য গড়ে দিয়েছে এবং বাংলাদেশকে লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছে।
এ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এখান থেকে নেয়ার অনেক কিছুই আছে। নুরুল চাপে ছিল। সে নিজেকে যেভাবে প্রকাশ করেছে এটা ভালো ব্যাপার। অন্য ব্যাটাররা একই অ্যাপ্রোচ নিতে পারে এবং পরের ম্যাচে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে।’