অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র সাড়ে তিন মাসের মতো। বিশ্বকাপের আগে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই খুব একটা।
তাই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু করছে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লের কথা মাথায় রেখে সাজানো হবে একাদশ।
বিশ্বকাপে লিটন দাসের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে নির্বাচকরা। হাবিবুল বাশার সুমন বলছেন, আগের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ব্যাটিংয়ে।
সবশেষ ২০০৭, তারপর থেকে একরাশ হতাশা। গত দেড় দশকে ৭টা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা শূন্য। প্রতিবার মূল পর্বে খেললেও এখনো টাইগাররা তেমন কোনো সফলতার মুখ দেখেনি।
টেস্টের মতো ক্রিকেট সর্টার ফরম্যাটের গোলক ধাঁধা বুঝতে ব্যর্থ লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। গত বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি হিসেবে ২০২১ সালে রেকর্ড ১৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত খেলা ম্যাচের সংখ্যা দুই। তবে ক্যারিবিয়ান সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টির ব্যস্ততা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়ের সিরিজ শেষে আছে এশিয়া কাপ।
নিউজিল্যান্ডে হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড গঠনের কাজ উইন্ডিজদের বিপক্ষেই সাড়তে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
গত কয়েক বছর ধরেই পাওয়ার প্লেতে ধুঁকছে বাংলাদেশ। সমস্যা সমাধানে এবার তাই হচ্ছে বিশেষ পরিকল্পনা। টপ অর্ডারদের হাতখুলে খেলার, মিলছে অনুমতি।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ ২-এ বাংলাদেশ ছাড়াও আছে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেটের পরাশক্তিরা। ২৪ অক্টোবর হোবার্টে টাইগারদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা দল।