বল হাতে সবাইকে হয়ত ঘাম ঝরাতে হয় না, কিন্তু স্পেশালিষ্ট ব্যাটার নন যারা তাদেরও ক্রিজে ব্যাট হাতে নামতে হয়। ব্যাট হাতে তাই দলের সবারই আছে অবদান রাখার সুযোগ।
বিশ্ব ক্রিকেটে টেল এন্ডারদের নজরকাড়া পারফরম্যান্সের নজির আছে ভুরি ভুরি। এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটেও এর দেখা মিলছে।
ভারতের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচের জয়ে বড় অবদান ছিল মুস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন নাসুম আহমেদ। মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে সিরিজ জেতানোয় বড় ভূমিকা ছিল এই দুই বোলারের।
তবে শুধু মুস্তাফিজ আর নাসুম নন, টেল এন্ডারে যে কেউ যেন ব্যাট হাতে দলের হাল ধরতে পারেন এবার সেই চেষ্টাই করছে বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেল। তবে সাগরিকায় তৃতীয় ওয়ানডের আগে স্বভাবতই বেশি নির্ভরতা টপ অর্ডারের ওপর।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট বলেন, ‘টপ অর্ডার আমাদের জন্য নিয়মিতই দুশ্চিন্তার কারণ। চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য তুলনামূলক ভালো।
শটগুলো এখানে আরও বেশি কার্যকরী। তবে নিয়মিত বাউন্স আসতে পারে। আমাদের শীর্ষ ৫ ব্যাটারের একজনকে ৪০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হবে, ম্যাচটাকে যত বেশি সম্ভব গভীরে নিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপ এখন এমনিতেই গভীর। তবে কোচের চাওয়া, দলের সবাই-ই যেন ব্যাট হাতে জেতানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করেন।
ম্যাকডারমট বলেন, ‘মূলত শীর্ষ ৫ বা ৬ ব্যাটারের দায়িত্বটাই বেশি। তবে সবাই-ই ভালো করছে। মিরাজকে দেখুন, আমাদের ৮ নম্বর ব্যাটার হয়েও কি আত্মবিশ্বাসী। আমরা এমন একটা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই যাতে ৮ নম্বর কেন, ১১ নম্বর ব্যাটারও ম্যাচ জিতিয়ে আসতে পারে।’