Home / সর্বশেষ / যে ৪ কারণে মরক্কোর কাছে হেরেছে ব্রাজিল

যে ৪ কারণে মরক্কোর কাছে হেরেছে ব্রাজিল

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর এই প্রথম খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল দল। কিন্তু তাঞ্জিয়ারে বাংলাদেশ সময় আজ ভোররাতে বিশ্বকাপে চমক জাগানো মরক্কোর বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি নেইমার-সিলভাবিহীন ব্রাজিল।

আশরাফ হাকিমি-ইয়াসিন বুনুদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা মরক্কোর কাছে ব্রাজিলের এই হারকে অবশ্য অঘটন বলার সুযোগ নেই। পূর্ণকালীন কোচ না পাওয়া এবং

নেইমারবিহীন ছন্নছাড়া তরুণ ব্রাজিল দলকে বিবেচনায় নিলে যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে মরক্কো। ব্রাজিলের হারের মূল কারণগুলো দেখে নেওয়া যাক এবার।

স্থায়ী কোচ নিয়োগ দিতে না পারাঃ বিশ্বকাপ শেষে তিতের বিদায়ের পর থেকে নতুন কোচের সন্ধানে আছে ব্রাজিল। কিন্তু বিশ্বকাপের তিন মাস

পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নতুন কোচ আনতে পারেনি তারা। একেক সময় একেক নাম সামনে এলেও শেষ পর্যন্ত কাউকে খুঁজে নিতে পারেনি ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

এর মধ্যে দেশি কোচ নাকি বিদেশি কোচ—সেই তর্কেও ইতি টানতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ানরা। একপর্যায়ে কোচ হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলত্তির নামও শোনা যায়।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিও হয়নি। এ কারণে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামন মেনেজেসকে। মরক্কোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে খুবই অল্প সময় পেয়েছেন তিনি। এই অল্প সময়ে মেনেজেস যে দলকে ঠিকঠাক গুছাতে পারেননি তা ব্রাজিলের পারফরম্যান্সই স্পষ্ট।

নেইমার-সিলভার না থাকাঃ বিশ্বকাপ থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর ব্রাজিলের তরুণ দলকে উজ্জীবিত করতে পারত নেইমার-থিয়াগো সিলভাদের মতো শীর্ষ তারকাদের উপস্থিতি।

কিন্তু চোটের কারণে নেইমারকে এ ম্যাচে পায়নি ব্রাজিল। ছিলেন না অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভাও। তাঁদের না থাকা দলের আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরানোর পাশাপাশি পারফরম্যান্সের গ্রাফকেও নিচের দিকে নামিয়েছে। আক্রমণভাগে নেইমারের অনুপস্থিতি ছিল স্পষ্ট। আর রক্ষণে ভুগিয়েছে সিলভার মতো অভিজ্ঞ কারও না থাকা।

তরুণরা জ্বলে উঠতে না পারাঃ মরক্কোর বিপক্ষে এ ম্যাচে পাঁচ তরুণ ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে ব্রাজিল দলে। কিন্তু এই তরুণেরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবও ছিল স্পষ্ট। এ ম্যাচে চোখ ছিল পালমেইরাসের তরুণ ফরোয়ার্ড রনির ওপর।

কিন্তু মাঝেমধ্যে কিছু ঝলক দেখা গেলেও সেভাবে মন ভরাতে পারেননি ২৭ বছর বয়সী রনি। রাইটব্যাক হিসেবে খেলা এমারসন রয়্যালও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। সোফিয়ান বুফালের গোলটিতেও নিজের কাজটা ঠিকঠাক পালন করতে পারেননি এমারসন। ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার আন্দ্রে সান্তোসও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। সব মিলিয়ে তরুণদের ব্যর্থতা ব্রাজিলের হারের অন্যতম কারণ।

আত্মবিশ্বাসী মরক্কো ঃ বিশ্বকাপে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছিল মরক্কো। সবাইকে চমকে দিয়ে আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে খেলেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও। নিজেদের সেই আত্মবিশ্বাস ব্রাজিলের বিপক্ষেও ফিরিয়ে এনেছে তারা। আক্রমণে যাওয়া কিংবা রক্ষণ সামলানো—দুই জায়গাতেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে মরক্কো। আর মরক্কোর এই আত্মবিশ্বাসী ফুটবলও বাড়তি চাপে ফেলেছে ব্রাজিলকে, যে চাপ শেষ পর্যন্ত জয় করতে পারেনি তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *