ফরিদপুরে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) জেলায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে, যা এবার মৌসুমের সর্বনিম্ন।
এদিকে, ফরিদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও সকাল সোয়া
৯টায় তা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
ফরিদপুরের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন জেলার তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করছে।
৭ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। সেই রেকর্ড ভেঙে আজ জেলায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত মৌসুমের সর্বনিম্ন।
এদিকে, অব্যাহত শীত ও কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খেটে খাওয়া দিনমজুররা ঘর থেকে কাজের সন্ধানে বের হলেও অন্যরা প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা বের হচ্ছেন না।
বিভিন্ন হাসপাতালে শীতজনিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিয়াউল হক জাগো নিউজকে বলেন, প্রচণ্ড শীত, কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের ফলে সরিষা ফুলের পাতার পচন ধরেছে।
এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া বোরো ধানের চারা ক্ষেতেও কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন,
মানুষ শীতে যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য প্রতিদিন ও রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এই শীতে মানুষের পাশে সরকার এগিয়ে দাঁড়িয়েছে।