Home / খেলার খবর / মোস্তাফিজুর রহমান, কুলদীপ যাদব নাকি মিশেল মার্শ। ম্যাচ হারের জন্য আসলে দায়ী কে?

মোস্তাফিজুর রহমান, কুলদীপ যাদব নাকি মিশেল মার্শ। ম্যাচ হারের জন্য আসলে দায়ী কে?

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ম্যাচে দুঃসহ অভিজ্ঞতা হয় মুস্তাফিজের। এই দিন প্রথম তিন ওভার ভালো বোলিং করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। পাওয়ার প্লেতে ২ ওভারে রান দেন ১৫। ষোড়শ ওভারে ফিরে দেন মাত্র ৫ রান। গড়বড় হয়ে যায় তার শেষ ওভারে।
figure class=”wp-block-image size-full”>

আর ওই ওভারকেই ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক রিশাব পান্ত। তবে ম্যাচ হারের কারন কী শুধু মুস্তাফিজের ওই ওভারটি। ১৭ ওভার শেষে বেঙ্গালোরের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৩২।
figure class=”wp-block-image size-full”>

দিনেশ কার্তিক খেলছিলেন ২০ বলে ২৪ রানে। অষ্টাদশ ওভারে কার্তিক স্রেফ তুলাধুনা করে ছাড়েন মুস্তাফিজকে। ওভারের প্রতিটি বলকে তিনি পাঠান বাউন্ডারিতে! প্রথম তিন বলেই চার, রিভার্স সুইপের চেষ্টায় ব্যাটের কানায় লেগে প্রথমটি, পরেরটি রিভার্স পুল শটে, এরপর কাভার ড্রাইভে।
figure class=”wp-block-image size-full”>

পরের দুই বলে ছক্কা, দুটিই সোজা ব্যাটে লং অফ দিয়ে। শেষ বলে আবার চার, এটিও সোজা ব্যাটে মিড অফ ফিল্ডারকে সুযোগ না দিয়ে। নিজের প্রথম তিন ওভারে ২০ রান দেওয়া বোলারের এক ওভার থেকেই আসে ২৮ রান।
figure class=”wp-block-image size-full”>

ম্যাচে মাত্র ১৬ রানে হেরেছে দিল্লি। মোস্তাফিজ সে ওভারে ২৮ রান না দিলে প্রয়োজনীয় রানরেট আরেকটু কম থাকত দিল্লির। আর সে ক্ষেত্রে ম্যাচে জেতার সুযোগ বাড়ত তাদের। ম্যাচ শেষে পন্ত বলেছেন,
figure class=”wp-block-image size-full”>

“মোস্তাফিজের ওই ওভার ম্যাচ বদলে দিয়েছে। আমার ধারণা, আরেকটু পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করতে পারতাম আমরা। কিন্তু শেষ দিকে দীনেশ কার্তিক আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। এর আগেও বলেছি, আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।”
figure class=”wp-block-image size-full”>

তবে ম্যাচ হারের কারণ কি মুস্তাফিজের ওই ওভার? সেটি কি করে হয়। মুস্তাফিজ ছাড়াও গতকাল খারাপ বলেন করেছেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৪৮ রান। যেখানে তার থেকে মাত্র দুই রান বেশি দিয়েছেন মুস্তাফিজ। যদিও একটি উইকেট পেয়েছিলেন কুলদীপ যাদব।
figure class=”wp-block-image size-full”>

তবে মুস্তাফিজের এক ওভারে ২৮ দেওয়া সত্ত্বেও দিল্লি ক্যাপিটালস সামনের টার্গেট দাঁড়ায় ১৯০ রান। যেখানে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেছিল দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং পৃথ্বী শ। পৃথ্বী শ আউট হওয়ার আগে দিল্লির রান ছিল ৪.৪ ওভারে ৫০ রান। তবে এরপর এই আস্তে আস্তে রানের চাকা থমকে যায় দিল্লি ক্যাপিটালসের।
figure class=”wp-block-image size-full”>

যদিও অন্যপ্রান্তে বিধ্বংসী রূপে খেলছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার তবে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি মিশেল মার্শ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেখানে একটি বল বট দেওয়া সুসাইড করার মত সেখানে ১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে এক প্রকার টেস্ট খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মিশেল মার্শ।
figure class=”wp-block-image size-full”>

তিনি যখন আউট হন তখন ১৪ ওভারে দলের রান ১১২। ২৪ বলে কোন বাউন্ডারি মারতে পারিনি মিশেল মার্শ। ৫৮.৩৩ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন মাত্র ১৪ রান। যেখানে ১৭ বলে ৩৪ রান করেছেন অধিনায়ক রিশাব পান্ত। ৩৪ বলে ৫৫ রান করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
figure class=”wp-block-image size-full”>

২১ বলে ৩২ রান করেছেন শাহবাজ খান। ৩৮ বলে ৬৬ রান করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া ম্যাচ জয়ের নায়ক দীনেশ কার্তিক করেছেন ৩৪ বলে ৬৪ রান। সেখানে ২৪ বলে ১৪ রান খুবই বেমানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *