প্রস্তুতি ম্যাচ না খেললেও অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার সাকিব আল হাসান। দুই ইনিংসে অসাধারণ দুটি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে বিপদ থেকে কিছুটা উদ্ধার করেন তিনি। যদিও পুরোপুরি রক্ষা তাতে হয়নি।
দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের আগ্রাসী খেলতে গিয়ে আউট হওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই! কেমার রোচের দ্বিতীয় নতুন বলে সাকিব যেভাবে আউট হয়েছেন তা পছন্দ হয়নি রাসেল ডমিঙ্গোরও। আর তাই বাংলাদেশের হেড কোচ সাকিবকে আক্রমণ ও রক্ষণের ভারসাম্য খুঁজে নিতে বললেন।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে আলজারি জোসেফকে তুলে মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েছিলেন সাকিব। অবশ্য বেশি কিছু করারও ছিল না তার। কেননা ৫১ রান করে নবম ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় তাকে।
দ্বিতীয় ইনিংসের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন ছিল। সাকিব আর নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ততক্ষণে লিড পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ধীরগতিতে খেলে দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। হয়তো তাদের দুজনের দুটো সেঞ্চুরিই পাল্টে দিতে পারতো ম্যাচ।
কিন্তু তখনই রোচের বলে ধৈর্য হারান সাকিব। ৬৩ বলে ফিরে যান তিনি। ১০৯ রানে ছয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ সপ্তম উইকেটটি হারায় ২৩২ রানে। এরপর অলআউট হয় ২৪৫ রানে!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৮৪ রানের। দিন শেষে জানা যায়, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও দলের অধিনায়ক সাকিবের কাছে ডমিঙ্গোর প্রত্যাশা ছিল একটু বেশিই।
সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘তাকে আক্রমণ ও রক্ষণের ভারসাম্যটা খুঁজে বের করতে হবে। মাঝে মাঝে প্রতি-আক্রমণ করতে হবে। কিন্তু তাকে মারার সময় মাথার অবস্থান, শরীরের অবস্থান ঠিক রাখতে হবে। কারন সে একজন সামর্থ্যবান ব্যাটসম্যান, যেটা সে আজ দেখিয়েছে।’
‘দেখুন, সাকিব সবসময়ই রান করার চেষ্টা করে। আমরা চাই না সে স্লগ করুক। আমরা চাই সে ভালো ক্রিকেট শট খেলুক। সেটা করেই প্রতিপক্ষের ওপর কিছুটা চাপ প্রয়োগ করুক। সেও জানে যে শুরুর সময়টা কাটিয়ে দিলে তাকে দীর্ঘ ইনিংসটা খেলতে হবে। তাকে সেঞ্চুরি করতে হবে।’
ম্যাচের বাকি দুই দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ৩৫ রানের। হাতে সাত উইকেট। বাংলাদেশের বোলাররা খুব অসাধারণ কিছু করে না দেখালে নিশ্চিতভাবেই ম্যাচ জিততে চলেছে ক্যারিবিয়ানরা।
তবে তাতে কি! সাকিবের অধিনায়কত্বে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৩ রান করেই লড়েছে দল। একদম সামনে থেকেই দলকে পথ দেখিয়েছেন সাকিব। বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডারের অধিনায়কত্বে তাই অনেকটাই নির্ভার ডমিঙ্গো।
তিনি আরও বলেন, ‘সে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, অভিজ্ঞ অধিনায়ক। এর আগে অনেক অধিনায়কত্ব করেছে। স্মার্ট… আমি তাকে অল্প সময়ের জন্য অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছিলাম এর আগে, সাকিব সব সময়ই পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে নেতৃত্ব দেবে। সে ব্যাটে-বলে অন্যতম সেরা পারফর্মার, অধিনায়কত্ব ও নেতৃত্বের দিক দিয়ে তার অনেক কিছু দেওয়ার আছে।’