টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৯৬ রান করেও জেতার রেকর্ড (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের) আছে। বাংলাদেশের সামনেও আজ ১০৪ রানের মামুলি পুঁজি নিয়ে ছিল জয়ের সম্ভাবনা।
কিন্তু সে সম্ভাবনা আর সত্য রূপ নেয়নি।‘ইশ, সাকিব যদি ওই ওভারে ৩০ রান না দিতেন, তাহলে নির্ঘাত ১০৪ রানের ছোট পুঁজি নিয়েও জিততো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল’-খেলা শেষে এমন আফসোস টাইগার ভক্তদের কারও কারও।
সত্যিই কি তাই? ১০৫ রান করতে গিয়ে সাকিবের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় আর দলীয় ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ৫ ছক্কায় ৩০ রান তুলে নিয়েছেন অসি ড্যান ক্রিশ্চিয়ান।
তাতেই ১৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য নেমে দাঁড়ায় ৬৫। তবে সেই রান করতেও অসিদের খেলতে হয়েছে পুরো ১৯ ওভার এবং তারা হারিয়েছে ৭ উইকেট।
কিন্তু সাকিবই কি এই একমাত্র এই লজ্জার অংশীদার? না ডারবানের কিংসমিডে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি ভারত আর ইংল্যান্ড। ব্যাটিং করছিল ভারত। একটু আগেই অল-রাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ যুবরাজ সিংকে স্লেজিং করে চটিয়ে দিয়েছিলেন।
ক্ষিপ্ত হয়ে যুবরাজ সেই রাগ ঝাড়েন তখনকার তরুণ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের ওপর! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার দেখা যায় ছয় বলে ছয় ছক্কা! মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন স্টুয়ার্ট ব্রড!
ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় তার বুক কাঁপছিল। কিন্তু সেই ব্রড এখনও বল হাতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাঝে এই প্রসঙ্গ টানার কারণ, গতকাল সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হজম করেছেন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারকে এমন লজ্জায় ফেলেছেন বর্ষীয়ান অজি অল-রাউন্ডার ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। তবে ক্রিকেটে সবার সব দিন সমান যায় না। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবেরও হয়তো আজ একটা খারাপ দিন গেছে।
ব্যাট হাতে ৫৭.৬৯ স্ট্রাইকরেটে ২৬ বলে ১৫ করার পর ওভারপিছু সাড়ে ১২ রান করে দেয়ার মতো ক্রিকেটার সাকিব কখনই নন। ব্রড মনে করেন, জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে পুরো টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ব্যাট ও বল হাতে একইদিনে এতটা অনুজ্জ্বল তিনি ছিলেন কবে, মনে করাও কঠিন।