যে ভয় পাওয়া হচ্ছিল শেষে এসে যেনো তাই সত্যি হচ্ছে। পা রমাণ বিক অ স্ত্রে হাত রেখেই যু দ্ধে দর কষাকষি করতে নামছে রাশিয়া। রোববারই খবর পাওয়া গেলো, দেশের প রমাণু অস্ত্রকে বিশেষ সতর্কাবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আলোচনায় ই উক্রেনকে চাপে রাখতেই এই কৌশল হাতে নিয়েছেন তিনি। তবে এই নির্দেশকে বি পজ্জনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে বর্ণনা করেছে সামরিক জোট ন্যাটো।
জোটের প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আ ক্রমণের পর পুতিনের এমন নির্দেশ প রিস্থিতিকে আরো গু রুতর করে তুলছে। রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষে পণাস্ত্র বাহিনীর জন্য এটাই সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কাবস্থা।
পুতিন পরমাণু অ স্ত্র ব্যবহারের হু মকি সৃষ্টি করবেন সে ই ঙ্গিত অবশ্য আগেই মিলেছিল। ইউক্রেনে হা মলা চালানোর পরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, এই আ ক্রমণের পর তৃতীয় কোনো শক্তি হস্তক্ষেপ করলে তার এমন পরিণতি হবে যা ইতিহাসে কখনও সম্মুখীন হয়নি।
অনেক বিশ্লেষকই মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে পুতিন মূলত পা রমাণবিক অ স্ত্রের হুমকিই দিয়েছেন। এ নিয়ে তখন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইভেস লে ড্রিয়ান বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন পা রমাণবিক অ স্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছেন, তখন তাকে বুঝতে হবে ন্যাটোর হাতেও এ অ স্ত্র রয়েছে।
পুতিন যদিও বলছেন, ন্যা টোভুক্ত দেশগুলো যে আ ক্রমণা ত্মক বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে, তার প্রেক্ষিতেই প রমাণু অ স্ত্রকে বিশেষ স তর্কাবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পুতিন বলেন,
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন শুধু পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ধারার বি রুদ্ধে শ ত্রুতামূলক পদক্ষেপই নিচ্ছে না। একই সঙ্গে ন্যাটোর শীর্ষ স্থানীয় দেশগুলোর নেতারা আমাদের দেশের বি রুদ্ধে আ গ্রাসী মন্তব্য করছেন। আমি জানি আপনারা সবাই জানেন এই নি ষেধাজ্ঞা বে আইনি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে রাশিয়ার এমন অবস্থান ‘সম্পূ র্ণ অগ্র হণযোগ্য’। জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড সিবিএস নিউজকে বলেন, পুতিন এখন রুশ-ইউক্রেন যু দ্ধের উ ত্তেজনা বৃদ্ধি করতে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ উপায় বেছে নিয়েছেন।
এদিকে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, পুতিনের এই ঘোষণা একটি ‘অপ্রয়োজনীয়’ পদক্ষেপ। এটি উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে বিপ জ্জনক একটি উদ্যোগ, যা ভুল হিসাবের ঝুঁ কি বাড়াবে। পুতিনের ওই আদেশ কীভাবে কার্যকর করা হবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তার মূল্যায়ন করছে।
প্রতিক্রিয়া হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব পা রমা ণবিক অ স্ত্রভাণ্ডারের অবস্থানের পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা তা বলতে অস্বীকার করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
এদিকে জাপানে মা র্কিন পর মাণু বোমা মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। রাশিয়ার ইউক্রেন আ ক্রমণের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, জাপানের উচিৎ যুক্তরাষ্ট্রের পর মাণু অ স্ত্র মোতায়েন অনুমোদন করার বিষয়টি বিবেচনা করা।