জী’বন দিলেন ইউক্রেনীয় সেনারা-সামরিক অভিযান চালানো রুশ সেনাদের কাছ থেকে কৃষ্ণসাগরের ছোট দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ ইউক্রেনীয় সেনা।
রুশ যু’দ্ধ জাহাজের কাছে আ ত্মসমর্পণ করতে অ স্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তারা। পরে ওই যু’দ্ধ জাহাজ থেকে ছোড়া বো’মার আ’ঘা’তে মৃ’ত্যু হয় তাদের।
এদিকে এরইমধ্যে ওই ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষীদের মৃ’ত্যুর এ ঘটনাটি অনেককে আবেগতাড়িত করেছে। রুশ সেনাদের উপেক্ষা করে তাঁদের শেষ মুহূর্তের প্রতিবাদী বক্তব্যগুলো টুইটার, টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম
সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্নেক আইল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য রুশ জাহাজের পক্ষ থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
তাঁদের বলা হয়েছিল, ‘আপনাদের অ’স্ত্রগুলো জমা দিন এবং আ ত্মসমর্পণ করুন। তা না হলে আপনাদের ওপর ফাঁ’কা গু’লি ছো’ড়া হবে।
আপনারা কি আমাদের কথা বুঝতে পারছেন?’
তবে রুশ যু’দ্ধ জাহাজের সে আহ্বান উপেক্ষা করে ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষীদের তখন বলতে শোনা যায়, ‘বেশ বলেছ’। এরপর তারা রাশিয়ার ওই যু’দ্ধ জাহাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। পরে রুশ বো’মা হা’ম’লায়
মা’রা যান তারা। নিজ দেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের এমন সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ লোদিমির জেলেনস্কি। এ নিরাপত্তা রক্ষীদের সবাইকে মর’ণোত্তর ‘যু’দ্ধ বীর’ হিসেবে স্বী কৃতি প্রদানের ঘো ষণা দিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের জিমিনি দ্বীপকে (স্নেক আইল্যান্ড) সুরক্ষিত
রাখতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন সীমান্তরক্ষীরা। বীরত্বপূর্ণভাবে জীবন বাজি রেখেছেন। তারপরও হাল ছেড়ে দেননি। তাঁদের সবাইকে ইউক্রেনের বীর হিসেবে মর’ণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ইউক্রেনের জন্য যাঁরা জীবন দেন তাদের চিরন্তন স্মারক এ স্বীকৃতি।’