রাশিয়া বিশ্বকাপের মতো কাতার বিশ্বকাপেও প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছে জার্মানি৷ আগামীতে নিশ্চয় এর কারণ খোঁজার চেষ্টা হবে৷ তবে সম্ভবত একটি সাধারণ সত্য হচ্ছে, জার্মানি আর যথেষ্ট ভালো দল নয়৷
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাতে কোস্টারিকাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে জার্মানরা। তবে ক্ষতি যা হওয়ার আগেই হয়ে গেছে। বরং তাদের এবারের বিদায় সম্ভবত আরও বেদনাদায়ক।
কারণ জার্মানরা তাদের ভাগ্য অন্যদের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল এবং তার মূল্য দিতে হয়েছে জাপানের কাছে স্পেন হেরে যাওয়ার পরে।
পরপর দুই বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে এবং মাঝে ইউরো ২০২০-এ দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে জার্মানি একটি বিষয় প্রমাণ করেছে:
তারা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো দল নয়৷ ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মেসুত ওজিল।
সাবেক আর্সেনাল মিডফিল্ডারের জাতীয় দল ছাড়ার পেছনে হাত ছিল জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি) সভাপতি রেইনহার্ড গ্রিন্দেলের।
নিকলাস ফ্যুলক্রুগের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও জার্মানিরা ওজিলের মত একজন দূর্দান্ত খেলোয়াড় তেরি করতে পারেনি। বছর খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে গ্রিন্দেলকে নিয়ে ওজিল বলেছিলেন,
‘বৈষম্যকারী লোকদের এমন বড় ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব দায়িত্ব দেয়া উচিত নয়। তাদের আচরণ এমন যে, যখন আমরা জয় পাবো তখন আমরা জার্মান।
আর হারলে আমরা অভিবাসী। মূলত ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তুলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত মেসুত ওজলি ও ইলকাই গুন্দোয়ান।
বিশ্বকাপে জার্মানি গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়ায় সে বিতর্কের আগুন আরো বেড়ে যায়। গোটা দল নয়; বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় গুন্দোয়ান-ওজিলকেই দুষছিলেন জার্মানির উগ্র সমর্থকরা।
সেই বিতর্কের দায় মেটাতে জার্মান দল থেকে অবসর নেন ওজিল। এরপর খবর বের হয়, উইঘুর মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় আর্সেনাল থেকেও ব্রাত্য হন তিনি।
টকস্পোর্ট জানিয়েছে, জার্মানদের সেই বৈষম্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে মেসুত ওজিলের ছবি প্রদর্শন করেন কাতারি দর্শকরা।