Home / সর্বশেষ / বাংলাদেশের বিপক্ষে কোহলির ফেক থ্রু সত্যতা যাচাই করে যা বললো ‘ফক্স স্টার’ চ্যানেল

বাংলাদেশের বিপক্ষে কোহলির ফেক থ্রু সত্যতা যাচাই করে যা বললো ‘ফক্স স্টার’ চ্যানেল

ভারতের সঙ্গে পরাজয়ের ব্যবধান ৫ রানের। খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের আফসোস, প্রাপ্য ৫টি রান তারা পায়নি। তাদের পক্ষ থেকে ‘ফেক ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ তোলা হলেও পেনাল্টি দেওয়া হয়নি ভারতীয় দলকে।

অ্যাডিলেইডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচে রান তাড়ায় দারুণ শুরু করা বাংলাদেশ বৃষ্টি বিরতির পর খেই হারিয়ে ম্যাচও হেরে যায়।

মিডল অর্ডারে ধসের পর শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদ চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি অল্পের জন্য। শেষ বলে সোহান ছক্কা মারতে পারলেও ম্যাচ সুপার ওভারে গড়াত। কিন্তু তিনি নিতে পারেন কেবল ১ রান।

বৃষ্টির পর মাঠ যথেষ্ট না শুকানোর আগেই খেলা শুরু করা হয়েছে কিনা, এটা নিয়ে ম্যাচ শেষে প্রশ্ন ওঠে অনেক। সাকিব আল হাসান অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে ভেজা মাঠ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই বলেই জানালেন বারবার।

তবে ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রান করা সোহান ম্যাচ শেষে ‘মিক্সড জোনে’ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তুলে ধরেন ওই ফেক ফিল্ডিংয়ের পেনাল্টি থেকে নিজেদের বঞ্চিত ভাবার কথা।

“মাঠ যে ভেজা, আপনারাও দেখছেন বাইরে থেকে, আমরাও দেখছি। ইভেনচুয়ালি আমার কাছে মনে হয় যে, যখন আমরা কথা বলি…

একটা ফেক থ্রোও ছিল। যেটায় ৫ রান পেনাল্টি হয়তো হতে পারত। যেটা আমাদের দিকে আসতে পারত। দূর্ভাগ্যবশত সেটাও আসেনি।”

ঠিক কোন সময়ে বা কোন ডেলিভারিতে ওই ফেক ফিল্ডিংয়ের ঘটনা ঘটে, তা অবশ্য পরিষ্কার করেননি সোহান। তবে পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়,

আকসার প্যাটেলের করা ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে ঘটে ওই ঘটনা। সীমানা থেকে আর্শদিপ সিংয়ের থ্রোয়ে বিরাট কোহলিকে দেখা গেছে রিলে থ্রো ধরে থ্রো করার ভান করার।

ভিডিও ক্লিপ দেখে এটিকে পরিষ্কার ফেক ফিল্ডিং বলেই মনে হয়েছে। উইকেটে থাকা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত তাৎক্ষনিক অভিযোগ করেন আম্পায়ারের কাছে।

তবে আম্পায়ার তাকে জানান, এরকম কিছু তাদের চোখে পড়েনি। যদিও ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, লেগ আম্পায়ারের খুব কাছেই ছিলেন কোহলি।

ওই ওভার শেষেই বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। বৃষ্টি বিরতিতে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামও আম্পায়ারদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন এটা নিয়ে। আম্পায়াররা তখনও বলেন, তারা এরকম কিছু দেখেননি।

ফেক ফিল্ডিংয়ে পেনাল্টি দেওয়ার এই নিয়ম চালু হয়েছে বছর পাঁচেক ধরে। একটা সময় ছিল, ব্যাটসম্যান কোনো শট খেলার পর ফিল্ডার ফিল্ডিং করতে গিয়ে বল না ধরেই থ্রো করার ভান করতেন।

তাতে অনেক সময়ই ব্যাটসম্যানরা রান নেওয়ার সময় বিভ্রান্ত হয়ে যেতেন। সেক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে রান আউটের সুযোগ তৈরি হতো।

ফেক ফিল্ডিং ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ২০১৭ সালে আইসিসি নিয়ম চালু করে পেনাল্টির। আইন অনুযায়ী, “কোনো ফিল্ডার তার কথা বা কাজ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের মনোযোগ ভিন্নমুখী করলে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কিংবা বাধার সৃষ্টি করলে, তা অন্যায্য হবে।”

সেক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলের সঙ্গে ৫ রান যোগ হয় এবং বলটিকে ঘোষণা করা হয় ‘ডেড।’ নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার ইচ্ছাকৃতভাবে এরকম কিছু করেছেন কিনা, সেটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার আম্পায়ারদের বা মাঠের কোনো একজন আম্পায়ারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *