২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলার পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন মাঠে হয়তো দেখা যাবে না মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। অনেকেই হয়তো ভেবেছিল মাঠে ফিরললেও পুরনো রূপে দেখা যাবে না মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
তবে ভেঙে পড়েননি মাশরাফি। প্রস্তুতি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। কিন্তু বিপিএলের মাঝপথেই ইনজুরিতে পড়েন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কোমরের ব্যথার কারণে ঠিকঠাক হাঁটতে পারছিলেন না তিনি।
চেন্নাইতে উন্নত চিকিৎসা নিতে গেলেও অস্ত্রোপচারের কথা শুনে না করে দেন খেলতে পারবেন না বলে। সেখান থেকে ফিরে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। আর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বল হাতে চমক দেখিয়েছেন তিনি।
সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় ৮ নম্বরে অবস্থান করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। পেসারদের মধ্যে চতুর্থ, দেশি পেসারদের মধ্যে রয়েছেন তৃতীয়তে। শুরুর দিকে একটা ম্যাচ খেলতে না পারলেও বাকি ১৪ ম্যাচ খেলেছেন। ২৯.৭৫ বোলিং গড় আর ৫.৪৫ ইকনোমিতে বোলিং করে নিয়েছেন ২০টি উইকেট।
মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলে মাশরাফী নিজের পারফর্ম নিয়ে বলেছেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে তো পারফর্ম করলে ভালো লাগে, অন্যরকম ভালো লাগছে। হয়তো আরেকটু ভালো করতে পারতাম, যদি ফিট থাকতাম। তবু ঠিক আছে, আলহামদুলিল্লাহ।’
নিজের সেরা মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘ওরকমভাবে তো খেয়াল করিনি। তবে আবাহনীর সঙ্গে ম্যাচটায় ভালো বোলিং করেছি। ওইটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল। মাঝে যখন জুটি হচ্ছিল, তখন ৩ উইকেট পেলাম… ম্যাচটা জিতলাম, ওইটা আমার বেশি ভালো লেগেছে।’
দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ লড়াই করেছে শিরোপার জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত রানার্স-আপ হয়ে শেষ করেছে মৌসুম। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও সতীর্থদের পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক।
‘আমার কাছে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল টিমটা নিয়ে। আমরা মডারেট একটা দল ছিলাম। সেখান থেকে লিগের চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ ম্যাচের আগে আমরা ছিটকে গিয়েছি। যেটা সবসময় বলি, চ্যাম্পিয়ন হতে শুধু ভালো খেললে হয় না, একটু ভাগ্যও দরকার হয়। সেই ভাগ্যটা আমাদের হয়তো ছিল না। তবু আলহামদুলিল্লাহ, রানার্স-আপ হয়েছি।’