ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন পিছুই ছাড়ছে না বিরাট কোহলির, পিছু ছাড়ছে না রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকেও। আগের দুই ম্যাচে কোহলি করেছিলেন জোড়া শূন্য।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে কোহলির গোল্ডেন ডাকের ম্যাচে মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু। এবার কোহলি করলেন ৯। ১১৫ রানে থামলো ফ্যাফ ডু প্লেসির দল। অথচ লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৪৫ রানের। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ব্যাঙ্গালুরু। রাজস্থান রয়্যালস সহজেই ম্যাচটা জিতেছে ২৯ রানে।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে কখনই ম্যাচে ছিল না ব্যাঙ্গালুরু। কোহলি (১০ বলে ৯), ডু প্লেসি (২১ বলে ২৩), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১ বলে ০), দিনেশ কার্তিকের (৪ বলে ৬) মতো বড় তারকারা দলকে হতাশায় ডুবিয়েছেন।
৯২ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা ব্যাঙ্গালুরু আর লড়াই করার মতো কাউকে পায়নি। কোনোমতে ধুঁকতে ধুঁকতে একশ পার করেছে।অখ্যাত পেসার কুলদ্বীপ সেন ২০ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ৩ উইকেট শিকার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়েছিল রাজস্থান রয়্যালসও। ১২১ রানে যখন ৮ উইকেট হারিয়েছে তারা, ইনিংসের তখন মাত্র ৮ বল বাকি। লড়াকু পুঁজি পাওয়াই অসম্ভব মনে হচ্ছিল। কিন্তু ছয় নম্বরে নামা রিয়ান পরাগ একাই লড়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত।
পরাগের দারুণ ব্যাটিংয়ে শেষ দুই ওভারে ৩০ রান যোগ করে রাজস্থান। ফলে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের পুঁজি পেয়েছে সঞ্জু স্যামসনের দল। টস হেরে ব্যাট করতে নামে রাজস্থান। প্রথম ওভারটা দেখেশুনে কাটিয়ে দেন দেবদূত পাডিক্কেল আর জস বাটলার। মোহাম্মদ সিরাজের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাডিক্কেল।
কিন্তু দুই বল পরই রাজস্থান ওপেনারকে (৭ বলে ৭) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সিরাজ। তবে ওয়ান ডাউনে নেমে দারুণ শুরু করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সিরাজের পরের দুই বলেই বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
ঝড়ো গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন অশ্বিন। সিরাজই তাকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন নিজের পরের ওভারে। ৯ বলে ১৭ রান আসে অশ্বিনের ব্যাট থেকে। অশ্বিন আউট হওয়ার পরপরই সাজঘরের পথ ধরেন জস বাটলার। ভয়ংকর এই ব্যাটার ৯ বলে মাত্র ৮ করে হন জস হ্যাজেলউডের শিকার।
এরপর সঞ্জু স্যামসনও ইনিংস বড় করতে পারেননি (২১ বলে ২৭)। হ্যাজেলউডের দ্বিতীয় শিকার ড্যারেল মিচেল খেলেন ধীরগতির এক ইনিংস (২৪ বলে ১৬)। ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারায় রাজস্থান।
উইকেট পতনের সেই মিছিল থামেনি। তবে একটা প্রান্ত ধরে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দিয়েছেন রিয়ান পরাগ। ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় হার না মানা ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। ব্যাঙ্গালুরুর মোহাম্মদ সিরাজ, জশ হ্যাজেলউড আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেন দুটি করে উইকেট।